spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চুরির শাস্তি ‘পালাক্রমে ধর্ষণ’

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৭ বছর বয়সী এক তরুণী চাকরী করতেন বোরকার দোকানে। তার বান্ধবী যোগ দেয় সেই দোকানে। কিন্তু হায় বান্ধবী যোগদানের প্রথম দিনেই দু’জনের বিরুদ্ধে আনা হয় চুরির অভিযোগ। আর মোবাইল ফোন চুরির বিচারের নামে আটকে রেখে দুই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ৮ যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় দুই কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুলিশ ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক রয়েছে আরো দুই যুবক। গতকাল রবিবার দিনগত রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউ মার্কেট মোড়ের জলসা মার্কেটের নবম তলার ছাদে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে বলে জানান কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।

ধর্ষিতা দুই কিশোরীর নাম গোপন রাখা হলেও ঘটনায় জড়িত যুবকদের নাম বলেছেন ওসি। এরমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত ৬ যুবক হচ্ছেন-জাহাঙ্গীর আলম (২৪), ফারুক (২৭), আব্দুল আউয়াল ওরফে ডালিম (৩০), কবির (২৭), বাবলু (২৮) ও সেলিম (৩৫)।
আর পলাতক দুই যুবক হচ্ছেন-রুবেল (২৫) ও এনাম (২৭)।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ১৭ বছরের এক তরুণী আগে থেকে জলসা মার্কেটে চাকরি করতো। ওই মার্কেটের ৫ম তলার জয়ন্তী বোরকা হাউসের মালিক রাশেদ তাকে জানায়, তার দোকানের জন্য একজন মহিলা কর্মচারী লাগবে। সে হিসেবে ওই তরুণী ১৬ বছর বয়সী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে রবিবার দুপুর ২টার দিকে রাশেদের দোকানে যায়।

কথা বলে চলে আসার সময় রাশেদের দোকানের এক মেয়ের মোবাইল হারিয়ে গেছে বলে ডালিম ও সেলিম নামের দুইজন তাদেরকে আটকিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রথমে রাশেদের রুমে বসিয়ে মোবাইল চুরি করেছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। এরপর সেলিমের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিচারের কথা বলে দুই কিশোরীকে জলসা মার্কেটের ৯ম তলার ছাদে নিয়ে যায় তারা। সেখানে আটজনই পালাক্রমে দুই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পালাক্রমে ধর্ষণে রক্তাক্ত হওয়ার পর তারা দুই কিশোরীকে মুমুর্ষ অবস্থায় ছাদে রেখে যায়।

এদিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরও ঘরে না ফেরায় ১৭ বছরের ওই তরুণীর মা রাত সাড়ে ১০টার দিকে জলসা মার্কেটে যান। সেখানে সমিতির লোকজনদের বলার পর খোঁজাখুঁজি করে মার্কেটের ছাদে গিয়ে তার মেয়ে ও মেয়ের বান্ধবীর খোঁজ পান। এ সময় তারা অসুস্থ অবস্থায় সেখানে পড়ে ছিল।

খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাত দুইটার দিকে ৮ ধর্ষকের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। টের পেয়ে দুই ধর্ষক পালিয়ে যায় বলে জানান কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন। মানবজমিন

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ