বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গভীর স্বাস্থ্য সংকটের রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, গতকাল কারাগারে বেগম জিয়ার সাথে তার পরিবারের লোকেরা সাক্ষাত করতে গেলে তার শারীরিক অবস্থা দেখে স্বজন’রা খুবেই ব্যথিত হয়েছেন। বেগম জিয়াকে চিকিৎসাহীন অবস্থায় রাখায় তিনি বাম হাত-পা, হাতের আঙ্গুল নড়াচড়া করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফিজিওথেরাপিষ্ট ব্যবস্থা না করে বরং আগে যা ছিল তাও একরকম বন্ধই করে দেয়া হয়েছে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র কব্জা করে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এটা আইনি লেবাসে প্রতিহিংসা পূরণের নমুনা। আমি আবারও বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দানুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে তড়িৎ চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, স্বজনরা সাক্ষাৎ শেষে আমাকে জানিয়েছেন-গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ রবিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জনসভা সফল করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকাবাসী, বৃহত্তর ঢাকা জেলাসহ সারাদেশের জনগণের মধ্যে যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি’র জনসভা চলাকালে ফরিদপুর জেলাধীন নগরকান্দার ফুলসুতি ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান মাতুব্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।