ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হঠাৎ কর্মবিরতি পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। এতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় সড়কে। দুর্ভোগে পড়েন সড়কের যাত্রীরা। বাসস্থানসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করেন বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশরা।
তবে মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে তাদের কেউ কেউ মঙ্গলবার সকাল থেকে যানজট নিরসনের কাজ করছেন বলে জানান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশরা সারাদিন রোদে পড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, গাড়ির বিকট শব্দে রাস্তায় ডিউটি করে দিন শেষে শান্তিতে ঘুমানোর স্থান পায় না। পুলিশ বিভাগের সবার থাকার জায়গা হয়, কিন্তু আমাদের থাকার কোন জায়গা নেই।
তিনি বলেন, হাটহাজারীতে আমরা যাযাবরের মতো বসবাস করছি। পূর্বে আমরা বর্তমান পৌরসভার ভবনে থাকতাম।
তাছাড়া জনবল কম থাকায় আমাদের ডিউটি করতে কষ্ট হয়। সব সময় ওভার ডিউটি করতে হয় আমাদের। তাই এসব সমস্যা নিরসনের দাবি নিয়ে আমরা কর্মবিরতিতে নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। তাতেও কাজ না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করব আমরা।
স্থানীয় লোকজন জানান, হাটহাজারী উপজেলার যেসব স্থানে ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে নিয়মিত ডিউটি করেন সেসব স্থানে সোমবার সন্ধ্যা থেকে কোন ট্রাফিক পুলিশ ছিল না। ফলে হাটহাজারী পৌরসভার মুল রাস্তা বাসস্টেশন জিরো পয়েন্ট মোড়, এগারো মাইল, বাজার, কাচারি সড়ক, কলেজ গেইট, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের দুর্ভোগ পড়েন জনসাধারণ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কোন সড়কের মোড়ে যানজট নিরসনে কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশকে কাজ করতে দেখা গেলেও আগের মতো পুরো কাজ করছেন না ট্রাফিক পুলিশরা। ফলে যানজট চলছেই। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
তাদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে তারা ট্রাফিক বিভাগের সমস্যাটি সমাধান না করে হাটহাজারীতে এমন ধর্মঘট কাম্য নয়!
ট্র্রাফিক বিভাগের চট্টগ্রাম উত্তর হাটহাজারী সার্কেল (টিএ) ট্রাফিক ইনচার্জ মোস্তাফিজ বলেন, আমাদের ট্রাফিক বিভাগের বাসস্থান পরিবর্তন হওয়ায় তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। সড়ক ছেড়ে তারা সোমবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী মডেল থানার ভিতরে অবস্থান নেন। এতে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে অনুরোধের পর তারা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যানজট নিরসনে কাজ করছে।
হাটহাজারী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, হাটহাজারীতে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সাথে বাসস্থান নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের তো আর কর্মবিরতি পালনের কথা নয়। বিষয়টি দেখছি বলে জানান তিনি। মানবজমিন