ডেস্ক রিপোর্ট: এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো টাইগাররা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪৭ রানের টার্গেটে ৩৫ বল থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌছায় টাইগাররা। আগামী ২৬ অক্টোবর এই মাঠেই টেইলরদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবেন মাশরাফিরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুরুতেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে মাঠ ছাড়া করান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৫.৪ ওভারে প্রতিপক্ষের দলীয় ১৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রানে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে ফেরান এই তরুণ অলরাউন্ডার। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ফিরেন আরেক ওপেনার। ২৭ বলে ২০ রান করা চিপহাস জুহওয়াওকে ফজরে রাব্বির ক্যাচে প্যাভিলিয়নমুখী করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায় করেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা ব্র্যান্ডন টেইলরকে। ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি করে ৭৩ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ৭৫ রান করার পর রিয়াদের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন টেইলর। শেন উইলিয়ামসের সঙ্গে তিনি ৭৭ রানের জুটি গড়েন।
হাফসেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বিদায় নেন শেন উইলিয়ামস। ৭৬ বলে দুটি চারে তিনি মুশফিককে ক্যাচ দেন। মাত্র এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন সিকান্দার রাজা। তার এই আফসোসের কারণ মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ অধিনায়কের বলে ৬১ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ করে বিদায় নেন রাজা।পরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানকে তুলে মারতে গিয়ে বিদায় নেন ১৭ রান করা পিটার মুর। উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি অভিজ্ঞ এল্টন চিগুম্বুরা। মাত্র ৩ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাজমুল ইসলামের কাছে ক্যাচ দেন তিনি। ফলে জিম্বাবুয়ে থামলো ২৪৬ রানে।
২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ১৪৮ রান তোলেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা লিটন দাস ইনিংসের ২৪তম ওভারে সিকান্দার রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিরিপানোর হাতে ধরা পড়েন। তার আগে ৭৭ বলে ১২টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৮৩ রান।
এরপর দ্রুত বিদায় নেন আগের ম্যাচেই অভিষেক হওয়া ফজলে মাহমুদ রাব্বি। এই ম্যাচেও তিনি ফিরেছেন খালি হাতে। সিকান্দার রাজার বলে এগিয়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিসের খেশারত দিতে হয়। ফলে টেইলরের ডিসমিসালেই সাজঘরে ফিরেন রাব্বি। দলীয় ১৫২ রানের মাথায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
৩৮তম ওভারে বিদায় নেন আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশের এই ওপেনার এই ম্যাচে করেছেন ৯০ রান।সিকান্দার রাজার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে চিগুম্বুরার হাতে ধরা পড়ার আগে ইমরুল ১১১ বলে সাতটি বাউন্ডারি হাঁকান। ১০ রানের জন্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলেন না ইমরুল। দলীয় ২১১ রানের মাথায় বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারায়। তার আগে মুশফিকের সঙ্গে ইমরুল গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
এরপর মিঠুন-মুশফিকের ৩৯ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌছায় টাইগাররা। ৫২ বল খেলে মুশফিক তুলে ৪০ রান। আর ৫ মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে মিঠুন তুলেন ২৪ রান। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।