‘বিএনপি একটা জায়গা এসে গিট্টু লাগিয়ে দেবে’

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: সংবিধানসম্মত ভাবেই টেকনোক্র্যাট কোটায় ঐক্যফ্রন্টের ৪/৫ জনকে মন্ত্রিসভায় নেয়া হলেও বিএনপি একটা জায়গা এসে গিট্টু লাগিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও কলামিস্ট প্রভাষ আমিন।

তিনি বলেন, তাদের ‘ওয়ান অ্যান্ড অনলি’ দাবি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যেতে চাইবে না। বৃহস্পতিবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪ এ একথা লিখেছেন তিনি।

প্রভাষ আমিন লিখেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রশ্নে ড. কামাল হোসেনের মুখ বন্ধ করতে শেখ হাসিনার এক মিনিট লাগবে। তিনি যদি বলেন, চাচা দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, যার একটি আবার আপিলে এসে সাজা না কমে ডাবল হয়েছে, তার মুক্তি আমি কিভাবে দেবো? আইনজীবী হিসেবে তো আপনি বুঝবেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই, এটা আদালতের এখতিয়ার। তখন ড. কামাল কী বলবেন? আলোচনার পরিবেশ খুব ভালো থাকলে, সরকারি দলের সর্বোচ্চ সদিচ্ছা থাকলে বেগম জিয়াকে তার পছন্দের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে বা গুলশানের বাসাকে সাবজেল ঘোষণা করে সেখানে তাকে রাখা হতে পারে।

‘তবে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এবং বেগম জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না; এছাড়া বাকি সব দাবি মেনে নিলেও কি ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে? আমার ধারণা ঐক্যফ্রন্ট যাবে, তবে বেগম জিয়াকে ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যেতে চাইবে না। তবে না চাইলেও এবার অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের যেতেই হবে। কারণ সরকারি দল যখন বলবে, ৭ দফার মধ্যে ৫টি পুরোপুরি এবং বাকি দুটি আংশিক মানা হয়েছে; তারপরও তারা নির্বাচনে আসছে না; তখন দেশি-বিদেশি উদ্বিগ্ন মহল কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপিকেই দুষবে। তখন তারা গ্যাড়াকলে পড়বে ভালো করে।

লেখায় আমি শুধু ৭ দফা মানার সম্ভাব্যতা যাচাই করলাম। তবে আলোচনার টেবিলে নির্ধারিত হবে কে, কতটুকু ছাড় দেবে। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে কে কতটা আদায় করতে পারবে তার ওপর। সংলাপ আসলে একটা মাইন্ড গেম, দাবা খেলার মত। একটা ভুল চালেই আপনি হেরে যেতে পারেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কার বৃহস্পতি তুঙ্গে ওঠে, সেটা দেখতে গোটা জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

সর্বশেষ