ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আমরা নির্বাচনে যাবো কি যাবোনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। এখন আমরা বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে এ কথা বলেন তিনি।
মওদুদ আহমেদ বলেন, সরকার চায় না বিরোধী দল নির্বাচনে আসুক। তারা এককভাবে নির্বাচন করতে চায় না। ভালো আলোচনার পরেও সরকার আমাদের ১১’শ কর্মীকে আটক করেছে। ৮০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আবার, বেগম জিয়াকে হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের একটা আলোচনা সভা ছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সেখানে ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে পুলিশ। তাছাড়া মাইক নিয়ে নেয় তারা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাকে যেসুবিধা দেয়া হয়েছে তা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি কিন্তু তাকে হুইল চেয়ারে করে আনা হলো, আমাদের নেত্রীকে অর্ধমৃত মতো দেখাচ্ছিল।
একই প্রসঙ্গে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবোধক ছিলো, সাংবিধানিক বাধ্যকতার কারণে আমাদের সে নির্বাচন করতে হয়েছে। এবং পরে আন্তর্জাতিক বিশ্ব নির্বাচনটাকে মেনে নিয়েছে। আমরা চাই বিএনপি বড় দল তারা নির্বাচনে আসুক। বিএনপির নির্বাচনে অংশ গ্রহন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখানে সরকারের কোনো ভুমিকা নেই। সংবিধান অনুযায়ী ২৮ শে জানুয়ারীর মধ্য এটা শেষ করতে হবে। সময় হাতে রেখে সব সময় নির্বাচন হয়, নির্বাচনে অনেক সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে সমস্যা হলে তা অবশিষ্ট সময় আবার ভোট নিয়ে সমাধান করা যায়।
মওদুদ আহমেদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে আব্দুর রাজ্জাক জানান, তাদের যে এক একহাজারের বেশি কর্মী আটক হয়েছে তা কোনো মিডিয়ায় আমি দেখিনি। এটা তাদের দলীয় মতামত হতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হতে পারে। ছোট খাটো কোনো পরিবর্তন করার হলে তা করবে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবিধান মেনে বিএনপি নির্বাচন করবে কিনা।
সূত্র :বিবিসি বাংলা