আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অংশগ্রহণের ঘোষণা এখন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র । শনিবার (১০ নভেম্বর) সকালে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের হতাশা কেন জানি না। তবে হতাশার মধ্যেও আশার আলো আছে। তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা নির্বাচনে আসবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রয়োজন। ইসি তফসিল ঘোষণা দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা ইসির হাতে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে আমার মনে হয় নির্বাচন নিয়ে কারো হতাশা থাকার কথা নয়। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ইসির কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) তফসিল ঘোষণার পরপরই নির্বাচনী মূল পরিকল্পনা তৈরি করতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রভাবশালী নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দেড় ঘন্টাব্যাপী বৈঠক করেন তারা। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে কয়েকজন নেতা দ্বিমত পোষণ করলেও অবশেষে এ বিষয়ে সবাই ঐক্যমতে পৌঁছান। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দলীয় চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবর্তমানে দলীয় মনোনয়নে স্বাক্ষর করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ছাড়া আজকের বৈঠকে নির্বাচনী ইশতেহার, মনোনয়ন, প্রচার-প্রচারণার কৌশল, দায়-দায়িত্ব বন্টনসহ সার্বিক বিষয়ে নির্বাচনী পরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত করবেন বিএনপির নীতি-নির্ধারনী নেতারা। এরপরে খসড়া কপি নিয়ে বসবেন ২৩-দলীয় জোট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গেও আলোচনায় প্রয়োজনের কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। মতামত নেয়া হবে জেলা নেতাদেরও।