spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ : রুহুল কবির রিজভী

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্যই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালতের নির্দেশে বিএসএমএমইউ (পিজি)-তে ভর্তি করে সরকারের নির্দেশে চিকিৎসা না দিয়েই আবারও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর কোন চিকিৎসা চলছে না। নিয়মিত যে থেরাপী দেয়া হতো তা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে, বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ।

রিজভী আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যতগুলো নির্বাচনে যত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সবগুলোতেই লাখ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন, অনেকেই তা পারেননি, এজন্যই বেগম জিয়ার প্রতি এত প্রতিহিংসা। আমি এই মূহুর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির জোর

বিএনপির এই মুখপাত্র আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের ছাড়া বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি ও জনমতকে উপেক্ষা করে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষনা দিয়েছিলেন সিইসি। কিন্তু দু’দিন আগে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) সাহাদাত হোসেন ৮০ থেকে ১০০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষনা দিয়েছেন। যা আরও গভীর চক্রান্ত বলেই সকলেই বিশ্বাস করছে। ইভিএম শুধু দেশে দেশে বিতর্কিতই নয়, ইভিএমে ভোট কারচুপি হয় বলেই পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এটি নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভারতসহ যে দু’একটি দেশে যেখানে সীমিত আকারে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল সেখানেও জালিয়াতির কারণেই ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। ঐসব দেশে রাজনৈতিক দলের নেতারা ইভিএমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ভোট কারচুপি ও ভোট ডাকাতির এই মেশিন আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার এই সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিরই মহাপরিকল্পনা। নির্বাচনে কোন ইভিএম ব্যবহার করা চলবে না। ভোট ডাকাতির যন্ত্র ইভিএম ব্যবহারের এই মহাপরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে।

রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব বলেছেন-ইভিএম সেন্টারে সেনাবাহিনী নিয়োগ থাকবে। তার এই বক্তব্যে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ইভিএম তো একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র, যা বহুদুর থেকে ম্যানিপুলেট করা যায়, তাহলে সেখানে সেনাবাহিনী নিয়োগ দিয়ে কী লাভ ? বরং ম্যানুয়ালী ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যালট পেপার কেড়ে নেয়া, জোর করে সীল মারতে গুন্ডামী হয়, সুতরাং গুন্ডামী-সন্ত্রাসী ঠেকাতে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন। এজন্যই ক্ষমতাসীন দল ছাড়া দলমত নির্বিশেষে ৩০০ আসনে প্রতিটি সেন্টারে সেন্টারে ম্যাজেষ্ট্রেসী ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানান তিনি এবং তাদের মুক্তি দাবি করেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ