চট্টগ্রামে যমুনা টিভির পরিচয়ে ধরা পড়ল দুই ভূয়া সাংবাদিক

 

- Advertisement -

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনের অফিসে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ‘ক্রাইম রিপোর্টার’ পরিচয় দিয়েছিলেন এক যুবক। সন্দেহ হওয়ায় তিনি টিভি চ্যানেলটির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই যুবক ‘ভূয়া সাংবাদিক’। পরে তার তথ্যমতে, আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ; তারা সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া কুলাল পাড়ার আহাম্মদ সিদ্দিকীর ছেলে আয়াজ সিদ্দিকী প্রকাশ সামির (২৬), রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পূর্ব কোদালা রাহেলী বাজার এলাকার ফখরুল আহম্মদের ছেলে ইমরান হোসেন প্রকাশ রবিন (২৩)।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনের অফিসে যান এক যুবক। তখন নিজেকে যমুনা টেলিভিশনের চট্টগ্রামের ক্রাইম রিপোর্টার ‘ইমরান হোসেন প্রকাশ রবিন’ পরিচয় দিয়ে ওসিকে ভিজিটিং কার্ড দেন তিনি। এ সময় তার কথায় সন্দেহ হওয়ায় যমুনা টেলিভিশনের চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান জামশেদ রহমান চৌধুরীকে ফোন করে ওসি নিশ্চিত হন, ওই নামে তাদের কোন সাংবাদিক নেই।

এরপর যমুনা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম অফিসের দুই সাংবাদিক থানায় যান। তখন ওই যুবককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে সে নিজের নাম আয়াজ সিদ্দিকী প্রকাশ সামির বলে স্বীকার করে। এবং প্রদর্শন করা ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখিত ইমরান হোসেন প্রকাশ রবিন বায়েজিদে অবস্থান করছে বলেও জানান।

পরে তার তথ্য মতে, বায়েজিদের অক্সিজেন মোড় থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার বাসায় অভিযান চালিয়ে যমুনা টিভির আইডি কার্ড, ১৮টি ভিজিটিং কার্ড, মাইটিভি লেখা হেডফোন ও মাইটিভি’র একটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে মাইটিভি কর্তৃপক্ষের সাথে পুলিশ যোগাযোগ করে জানতে পারে, ইমরান হোসেন রবিন নামে তাদের কোন সাংবাদিক নেই।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার শিহাব জিশান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় বুধবার আদালতের মাধ্যমে দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ