spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: পুলিশী গ্রেপ্তার এড়িয়ে আদালতের কাছে আত্মসমর্পন করতে চাইছেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। কিন্তু গুম-অপহরনের শঙ্কায় গ্রেপ্তার এড়িয়ে আদালতে হাজির হতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চাঁদপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারীর কারণে উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্নও হতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন।

নবম জাতীয় নির্বাচনের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা দায়ের হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে তিনি চিকিৎসা ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার প্রবাস জীবনে তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলেও মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তার পিছু নিয়েছে। তিনিও আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করতে চাইছেন।

উল্লেখ্য, নবম জাতীয় নির্বাচনের পর সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজি, মোটর সাইকেল ও মোবাইল সেট ছিনতাই, মসজিদের গরু চুরি, ইভটিজিংসহ শতাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে জানা গেছে।
এহছানুল হক মিলন জানান, গত ১৩ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরেছেন। এরপর থেকেই চাঁদপুর আদালত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে দফায় দফায়। এমনকি তার গুলশানের বাড়িতেও হানা দিয়েছে পুলিশ। তিনি আইনের প্রতি প্রদ্ধাশীল হয়েও আদালতে যেতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আইনের হাতে সোপর্দ হতে চান তিনি। কিন্তু পুলিশ তা হতে দিচ্ছে না। জামিনযোগ্য মামলায় অনুপস্থিত থাকায় তাকে আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চান। আদালতে হাজির হয়ে জেলে যেতেও প্রস্তুত। কিন্তু পুলিশের ভূমিকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতে সর্বসাধারণের প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে, তল্লাশী চালানো হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের এ ধরনের আচরণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত­ করবে বলে মনে করেন তিনি। মানবজমিন

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ