বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন আর সরকার একই। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বৃহস্প্রতিবার আরটিভির এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, বিএনপি অভিযোগ করেছে রিটার্নিং অফিসারদের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ডেকে নিয়ে মিটিং করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই এই সময় রিটার্নিং অফিসাররা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে পারেন না। কারণ এখন তারা নির্বাচন কমিশনের অধিনে, প্রধানমন্ত্রীর অধিনে নয়। কিন্তু ইসি বিএনপির এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপির পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের গাড়ি রাখাটা উদ্দেশ্যমূলক, কারণ ওখানে কখনো পুলিশের গাড়ি রাখা হয় না। আবার ওই ঘটনা ঘটার আগেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাসহ সাংবাদিক উপস্থিত ছিলো। প্রত্যেকটা ঘটনার একটা মিল আছে, পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘটানো হয়েছে বিএনপির ইমেজ নষ্ট করার জন্য।
তিনি আরো বলেন, এখন আমরা নির্বাচন কমিশনকে পর্যবেক্ষণ করবো, না পুলিশকে পর্যবেক্ষণ করবো সেটাই বোঝা কঠিন। কারণ নির্বাচন কমিশন আর সরকার একই। আবার নির্বাচন কমিশন সচিব বলেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা মূর্তীর মতো দাঁড়িয়ে থাকবে তাহলে, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা কি কাজ করবেন। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ম করা হয়েছে ,তারা কারো সাথে কথা বলতে পারবে না, চোখের সামনে ভোট কাটলেও ছবি তুলতে পারবে না। এইসব আয়োজন দেখে মনে হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি জানান, আগামীকাল থেকে আবার নতুন করে অস্ত্র উদ্ধারের যে ঘোষণা দিয়েছে সেটার মূল লক্ষ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে গ্রেফতার করবে। যাতে শাসক দলের কোনো প্রতিপক্ষ মাঠে থাকতে না পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলে, নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি সবার জন্য একটা সমান মাঠ তৈরি করা, এবং প্রশাসনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং এই পার্লামেন্টের বিলুপ্তি। এটা ছাড়া কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা সম্ভব নয়।