আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাছাই প্রক্রিয়ায় যাদের প্রার্থীতার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা সোমবার থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। আপিলের ওপর শুনানি হবে আগামী ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর। নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, নির্বাচন কমিশন যদি আপিল বাতিল করে তবে সেই প্রার্থী আদালতেও যেতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রোববার ছিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন। সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতি আসনে দাখিল হওয়া মনোনয়নপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করা হয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এতে নির্বাচনে আগ্রহী কারো মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষিত হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিকার চাইতে পারবেন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে এ আপিল করতে হবে ইসির কাছে।
সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাইেয়র সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বৈধ বা অবৈধ ঘোষণা করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত মনপুত না হলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ বা আপিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে সাদা কাগজে আবেদনের করে তথ্য-প্রমাণসহ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এটা করতে হবে আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর কমিশন প্রার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ৬, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই আপিল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবেন।
এর আগে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার মনপুত না হলে সংক্ষুব্ধরা আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। সেখানেও যদি তিনি সন্তুষ্ট না হন তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতেও যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সারা দেশের ৩০০ আসনে মোট ৩ হাজার ৬৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রাথীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।