ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ বাকী চারজন তার বিরোধীতা করে খালেদা জিয়ার প্রার্থীতা বহালের আপিল খারিজ করে দেন।
খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে আপিল শুনানি চলাকালে আইনজীবীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের কাছে জানতে চান, খালেদা জিয়া কারাগারে, তিনি কীভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেন বা নির্বাচনী অপরাধ করলেন? আর এই কারণে কীভাবে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়?
শনিবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু তিন আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এর বিরুদ্ধে তার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়। শনিবার দুপুরে কমিশনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি করা হয়। শুক্রবার শেষ দিনের মতো আপিল নিষ্পত্তির কাজ চলে।