spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’, কলেজছাত্র আটক

spot_img

 

- Advertisement -

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে উচ্চ মাধ্যমিকের এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে সুস্মিতা দাসের (৯) লাশ প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। সে গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।

এ ঘটনায় প্রতিবেশী ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েটে স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র জয়দেব সরকারকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, সে ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে।

সুস্মিতার বাবা প্রশান্ত দাস পুলিশকে বলেন, তাঁর মেয়ে গ্রামের অম্বিকা রানী সরকারের কাছে প্রতি সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেত। গতকাল সন্ধ্যায়ও সে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় অম্বিকার ভাই জয়দেব সুস্মিতাকে জানায় যে, অম্বিকা বাড়িতে নেই।

‘পরে জয়দেব সুস্মিতাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কাছের একটি দোকানে নিয়ে যায়। দোকানে খাবার খাওয়ানো শেষে জয়দেব আবারও সুস্মিতাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়।’

নিহতের বাবার দাবি, এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় জয়দেব সুস্মিতাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে সুস্মিতাকে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয় জয়দেব। পরবর্তী সময়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে জয়দেব পুকুর থেকে সুস্মিতার লাশ তুলে এনে বাড়ির বাথরুমে রেখে দেয়।

একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে গ্রামবাসী সুস্মিতার লাশ উদ্ধার করে এবং জয়দেবকে আটক করে পুলিশে খবর দেয় বলে জানান প্রশান্ত দাস।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সুস্মিতার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জয়দেবকে আটক করা হয়েছে। সে শিশুটিকে ধর্ষণ ও পুকুরে ফেলে আবার তুলে এনে বাথরুমে রেখে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ