এমন গুঞ্জন আরো জোরালো হয়েছে বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বক্তব্যে। শুক্রবার বিকালে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দল পুনর্গঠন করতে হবে। ত্যাগী, পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে আনতে হবে। আমরা যারা ব্যর্থ বলে পরিচিত হয়েছি আমাদের পদ ছেড়ে দিতে হবে তরুণদের জন্য।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, দরকার হলে আমাদের যাদের বয়স হয়ে গেছে, তাদের সরে যেতে হবে। তারপরেও দলটাকে রখতে হবে। অনেকেই বলছেন তারা মূলত মহাসচিব পদে পরিবর্তনের আভাসই দিয়েছেন।
তাদের এমন বক্তব্যের পর বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। জানা গেছে, ফখরুলকে সরিয়ে নতুন মহাসচিব পদে অন্য কাউকে বসানোর চিন্তা-ভাবনা করছে বিএনপির হাইকমান্ড।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং জাতীয় ঐক্যফন্টের সাথে রাজনৈতিক মিত্রতা এবং সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো জনমত গড়ে তুলতে না পারার কারণে অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপর বিরক্ত। তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরিয়ে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মহাসচিব পদে বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন। এছাড়া বিএনপির আরেকটি গ্রুপ মির্জা আব্বাসের সমর্থনেও মাঠে নেমেছেন। সব মিলিয়ে বিএনপিতে এখন পরিবর্তনের সুর।