কাল বিএনপির মানববন্ধন, ৮ই ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ

 

- Advertisement -

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হবে আগামী কাল। এই অধিবেশনকে ভুয়াভোটের সংসদের প্রথম অধিবেশন আখ্যা দিয়ে কাল প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের সকল কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই কালিমালিপ্ত ভুয়াভোটের সংসদের প্রতিবাদে আগামীকাল ৩০শে জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে অন্যায়ভাবে কারান্তরীণ নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা সোহরাওয়াদী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহাতামাশার নির্বাচন। চরম মিথ্যাচার, অনুশোচনাহীনতা ও গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্লজ্জভাবে ম্যানুফ্যাকচার্ড ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে নিজেরা আত্মপ্রসাদ লাভ করলেও জনগণকে বোকা বানানো যায়নি।
মহাভোট ডাকাতির মহা সমারোহ জনগণ দিব্যচোখে অবলোকন করেছে। ভুয়া ভোটের মিথ্যা জয়ের অহংকারে ধানের শীষের নেতাকর্মী, সমর্থকসহ গরীব মানুষের বাড়ীঘর, দোকান, বাজার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে এক অসুস্থ পরিবেশ ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্র-সমাজের সর্বত্র। নির্বাচন পূর্বাপর ভুয়াভোটের সরকারের জয়োল্লাসের প্রকোপে চারিদিকে শুধু হিংসার ছবি। প্রহসনের নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন, আইন-আদালত, পুলিশ-প্রশাসন সবই ভুয়াভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গুলি হেলনে উঠবস করতো। ধুর্তামি, শঠতা ও নির্মম দমন-পীড়ণের মাধ্যমে অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী মাঠ কব্জায় নিয়ে তারা একতরফা নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল। সারাদেশে তারা ভয়-ভীতির শিহরণ সৃষ্টি করে। ভোটের মাঠ শুন্য করতে সরকারী প্রশাসন মহাতৎপরতায় লিপ্ত ছিল। মূলত রক্তাক্ত মূর্তি নিয়েই তারা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার আত্মসাৎ করে। এসময় তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি পারভেজ আহমেদ মিথ্যা ও বানেয়াট মামলায় জামিন লাভের পরেও তিনবার তাকে জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

প্রতিবারই তার নামে নতুন নতুন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো-পরিবারের সদস্যদেরকে তার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতেও দেয়া হচ্ছে না। অসত্য ও ভুয়া মামলায় জামিন লাভের পরও পারভেজ আহমেদকে বারবার কারাফটক থেকে গ্রেপ্তার ও নতুন নতুন মামলা দায়েরের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সুকোমল বড়ূয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ