গণফোরামের দুই নেতার উদ্দেশ্যে সুব্রত চৌধুরী ‘কেউ যদি স্ব-ইচ্ছায় জাতীয় বেঈমান সাজতে চান তাতে আপত্তি নেই’

 

- Advertisement -

সুলতান মুনসুর ও মোকাব্বির খান নিয়ে বেকায়দায় গণফোরাম। এই দুই নেতা সংসদে যোগদানের পক্ষে। তাদের এই ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণফোরাম ও তাদের মিত্র ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি কোনো মন্তব্য থেকে বিরত রয়েছে। তবে গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সাফ জবাব কেউ যদি স্ব ইচ্ছায় জাতীয় বেঈমান হতে চান তাতে কোনো আপত্তি নেই। নিজেকে বিক্রি করে দেয়ার নজির অতীতেও আছে। পরে তাদের অবস্থান কি হয়েছে জনগণ তা দেখেছে।

সুব্রত বলেন, ড. কামাল হোসেন সাহেব উনাকে (সুলতান মুনসুর) একেবারে ঘরের ছেলের মত ভালোবাসেন। ঘর থেকে বের করে এনে তাকে জাতীয় নেতা বানিয়েছেন। ঐক্যফ্রন্টের র্শীষ নেতা বানিয়েছেন। সে আমাদের হয়েই আজকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। ঐক্যফ্রন্টসহ সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন। এরপরও যদি উনি আবোল-তাবোল কথা বলেন এটা খুবই দুঃখজনক। আমি জানি না উনি একথা বলেছেন কিনা।

তিনি বলেন, এখানে এমপিদের কেনাবেচা হচ্ছে। সরকারি দল ২৮৮টি নিয়েছে তাতেও উনাদের পোষাচেছ না। তাদের ইচ্ছে ছিলো ৩০০ আসন নিয়ে নেয়ার। কেনো ৩০০টি পায় নাই একারণে আশেপাশে যারা আছে তাদেরকেও নিতে হবে। উনি (সুলতান মুনসুর) যদি নিজেকে কেনাবেচার মধ্যে নিতে চান তাহলে উনি যাবেন। অতীতেও অনেকে গেছে। এগুলোতো কারোর জন্য শোভনীয় না। বিশেষ করে এই লেবেলের মানুষ যারা।
গণফোরামের এই নেতা বলেন, উনি (সুলতান মুনসুর) ১০ নভেম্বর নিজে দরখাস্ত নিয়ে গণফোরামের সদস্য হয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ফরম মনোনয়ন ফরম নিয়ে জমা দিয়েছেন। উনি তো জমাই দিতে পারবেন না যদি কোনো রেজিস্টার্ড দলের সদস্য পদ না নেন।

এগুলো ছেলে খেলা নাকি এ প্রশ্ন তুলে সুব্রত চৌধুরী বলেন, জাতীয় বেঈমানরা এভাবে কথা বললে তো আমাদের কিছু বলার নেই। উনি আমাদের র্শীষ পর্যায়ে মিটিং এমনকি প্রেসিডিয়াম মিটিংয়ে উনি অংশ নিয়েছেন। উনাকে আমরা এতো ভালোবাসি। এতো সম্মান করি।

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে আমরা উনাকে নমিনেশন দিলাম। উনি গণফোরামের হয়ে নমিনেশন জমা দিলেন। তার মনোনয়ন বৈধ হলো। যখন প্রতীক বরাদ্দ হলো তখন আমরা বললাম ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সবাই ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবো। উনিও করেছেন।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, আর মোক্কাবির খান সাহেব আমাদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার। গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক উনার নমিনেশন ফরমে স্বাক্ষর করেছেন। প্রথমে উনাকে আমরা প্রতীক দিতে পারি নাই। তখন উনি লন্ডনে চলে গেলেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী যখন নির্বাচন করতে পারলেন না, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম উনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। তখন প্রতীক দেওয়ার সময় পার হয়ে গেছে। তখন আমাদের প্রতীক নিয়ে উনি ইলেকশনটা করলেন। এজন্যই বলা হচ্ছে গণফোরামের দুজন প্রার্থী। এটা তো আপনারা হাওয়া থেকে পাননি।

গণফোরামের এই নেতা বলেন, যদি উনারা আমাদের সাংগঠনিক যে প্রক্রিয়া আছে সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকেন তাহলে একরকম। আর এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যেতে চান, সেটা আরেক রকম। তখন সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে কথা বললে বা সংগঠনের বিরুদ্ধচারণ করলে যে প্রক্রিয়ায় যাবে সেটা নিশ্চয়ই আসবে। উনি (সুলতান মুনসুর) যেকোনো দলে যেতে পারে। গেলে উনার (সুলতান মুনসুর) অবস্থান কি হবে তা জনগণ বুঝবে। উনারও(সুলতান মুনসুর) বুঝতে হবে। উনি (সুলতান মুনসুর) চলে যাক না! যদি কোনো দলে যেতে চায় যাবেন। কিন্তু সেটা গেলে সাংগঠনিক কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা সব দলের গঠনতন্ত্রের মধ্যে আছে।

সর্বশেষ