সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ভুল আসামি জাহালমকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আজই তাকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত এই ভুল তদন্তের সঙ্গে কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। না হলে আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে বলে জানান।
আদালত বলেছেন, এক নির্দোষ লোককে এক মিনিটও কারাগারে রাখার পক্ষে আমরা না। বিনা দোষে জাহালামকে কারাগারে রাখা আরেকটি জজ মিয়ার নাটকের মতো ঘটনা।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। তবে আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন ও আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাহালমের কারাবাসের তিন বছর পূর্ণ হবে।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। পরে হাইকোর্ট প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে এ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিসহ চারজনকে ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়।
পরে রোববার সকালে ওই চারজন হাইকোর্টে হাজির হন।