ভূমি অফিসে হয়রানি, দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

মো.মুক্তার হোসেন বাবু:  চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরতদের সতর্ক করলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১২ টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় সারপ্রাইজ ভিজিট করার সময় কর্মকর্তাদের এই সতর্ক বার্তা দেন। মন্ত্রী বলেন, ভূমি অফিসে কোন ধরনের হয়রানি, দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। সতর্ক একবার করেছি, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেছে অধিগ্রহণের চেক ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে না গিয়ে দালালদের কাছে চলে যাচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। তার জন্য ইলেক্ট্রনিক্স সিস্টেম চালু করে এসএমএসের মাধ্যমে চেক বিতরণ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। ৭ ধারা নোটিশ জারি করার পর অনেক সমস্যা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বসে নোটিশের পর যেন কোন সমস্যা না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন মন্ত্রী।
এসময় এলএ শাখার পরশ চাকমা নামের একজন কর্মচারি এক ভুক্তভোগীর ফাইল বাসায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দেওয়া হয় মন্ত্রীর কাছে। মন্ত্রী পরশ চাকমাকে সতর্ক করে বলেন, কোন ফাইল বা কাগজ বাসায় নেওয়া যাবে না। অফিসের কাজ অফিসে শেষ করতে হবে। ভূমি অফিসগুলোতে সুন্দর পরিবেশ চাই। তার জন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ সময় মন্ত্রী জাবেদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের খোঁজ খবর নেন এবং কথা বলেন সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে। এসময় অনেকে মন্ত্রীকে নানা অভিযোগ করলে সেগুলো সমাধান করার জন্য জেলা প্রশসক ইলিয়াস হোসেনকে নির্দেশ দেন।
এ সময় মন্ত্রী সার্ভেয়ারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফাইল আটকে রাখার প্রবণতা কেনো? মানুষকে ঘোরানো, হয়রানি করা-এসব কেনো? আমরা তো মানুষের সেবা করতে চাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, নিচের লেভেলের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি আমার কাছে, ডিসির কাছে কিংবা এডিসির কাছে কোনো কমপ্লেইন আসে, নিচের লেভেলে ফাইল আরও স্লো হয়ে যায়। তখন নানা আইন বের হয়। এসবের কারণ কি? তোমরা কি অনেক বড় অফিসার হয়ে গেছো? আমাদের চেয়ে বড় অফিসার হয়ে গেছো? মানুষকে ক্ষমতা দেখাও?’
‘হোয়াট নন সেন্স ইজ দিস। এটা তো আমি টলারেট করবো না। সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, একটা মানুষের কত টাকা দরকার। ১২ পার্সেন্ট, ১৫ পার্সেন্ট টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ শুনছি আমি। সরকার বেতন দিচ্ছে না? হারামের পয়সা খেয়ে লাভটা কী?

- Advertisement -

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ইএফটি (ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ে সেবা নিতে এসে এখনও মানুষ দুর্নীতি-হয়রানির শিকার হচ্ছে। কানুনগো, সার্ভেয়ার, তহশিলদার লেভেলে গিয়ে এই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা চেকে দেওয়া।
তিনি বলেন, আমরা একটা মেকানিজম বের করছি। মানুষকে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, ভোগান্তিও যাতে লাঘব হয়, এ জন্য ইএফটি সেবা চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরে বসেই ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন।

সর্বশেষ