জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।ড. কামালের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এক কোটি ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন আমরা তাকে নেতা মানলাম। কেন, মির্জা ফখরুল কী দোষ করেছিলেন? তাকে নেতা মানলাম না কেন?
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রোববার বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুর রহমানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনাসভা হয়।
ড. কামাল হোসেনকে ইঙ্গিত করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, আমি স্বাধীনতার ইতিহাস জানি। সেই সময়ে ভারতে আমরা সব চলে গেলাম। এনটায়ার কেবিনেট চলে গেল। গভর্নর হাউসে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে কথা বলার সময়ে যে ব্যক্তি ছিল সর্বক্ষণ, সে গেল না।
একাদশ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শাহ মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, কেন এই নির্বাচনে আমরা গেলাম। কথা হলো নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না, কিন্তু তা তো হলো না। দলীয় সরকারের অধীনেই হলো। কথা হলো খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন হবে না, কিন্তু খালেদা জিয়া ছাড়া আমরা নির্বাচনে গেলাম। কেন এ অবস্থা হলো? কেন আজও খালেদা জিয়া জেলে? কেন একটা দাবিও সরকার মানল না?
অনুষ্ঠানে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারের উদ্দেশে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মনে করছেন, এটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, এভাবে টিকে থাকবেন। আমি বলছি, অসম্ভব।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই অনাচার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে না পারছি, জিততে না পারছি, তাকে সরিয়ে দিতে না পারছি, ততক্ষণ লড়াই চালাব। আমি আহ্বান জানাব ঐক্যবদ্ধভাবে দৃঢ়ভাবে লড়াই চালাতে হবে। তার বিকল্প নেই।
সংগঠনের সভাপতি টিএম গিয়াস উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সম্রাটের পরিচালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের মেয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু, যুবদল নেতা মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।