spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

শ্রীলঙ্কায় কার্ফু জারি, ঘণ্টাকয়েকের মধ্যেই ফের বিস্ফোরণ

spot_img

 

- Advertisement -

ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল শ্রীলঙ্কা। রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত আটটি বিস্ফোরণ ঘটেছে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ সংলগ্ন এলাকায়। রোববার সকালে রাজধানী কলম্বোর তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন তিনশোরও বেশি।

কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। গির্জায় ইস্টারের প্রার্থনা চলাকালীন এই হামলা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কায় একের পর এক বিস্ফোরণে নিহত ১৮৫ জনের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশি নাগরিক।

সকালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর আরও একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে দুপুরে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই। শ্রীলঙ্কার দেহিওয়ালার হোটেলে সপ্তম বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুই ব্যক্তি। এর পরে ফের কলম্বোয় অষ্টম বিস্ফোরণের খবর আসে।

কলম্বো হামলায় সেনাবাহিনী ডাকল শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। একটি টুইট করে তিনি বলেন, এ জাতীয় হামলা একেবারেই কাপুরোষোচিত। দেশের প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও দৃঢ় মনের পরিচয় দিতে অনুরোধ জানান তিনি।

রোববার সকাল পৌনে নয়টা সময় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। ইস্টারের প্রার্থনার সময় তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটে। একই সঙ্গে তিনটি হোটেলেও পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘিরে ফেলে এলাকা। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৮০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে গুরুতর আহত অবস্থায়, আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।’ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কলম্বো পুলিশ।

কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা, কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জাসহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ শোনা গিয়েছে। সাংরি লা, সিনামন গ্র্যান্ডের মতো বিলাসবহুল হোটেলেও চলে হামলা।হোটেলগুলোতে অসংখ্য বিদেশি পর্যটক ছিলেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ইতোমধ্যেই বিস্ফোরণের বিভিন্ন ছবি উঠে এসেছে টুইটার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ বা কেউ এর দায়ও স্বীকার করেনি।

শ্রীলঙ্কা মূলত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরই দেশ। দেশে খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী ক্যাথলিকদের সংখ্যা ছয় শতাংশ মাত্র। ইস্টারের প্রার্থনার কারণেই গির্জায় বেশ ভিড়ই ছিল, তাই এই নির্দিষ্ট সময়টাকেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে বলে মত শ্রীলঙ্কা পুলিশের।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ