ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকার রেস্তোরাঁয় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীর লাশ দেশে এসে পৌঁছেছে।
বুধবার বেলা ১২টা ৪২ মিনিটে শ্রীলংকা থেকে তার লাশ বহনকারী উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। লাশ ১টা ১০ মিনিটে আসার কথা থাকলেও আধা ঘণ্টা আগে এসে পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরে শিশু জায়ানের লাশ গ্রহণ করেন শেখ সেলিমের স্বজনরা। সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে লাশবাহী গাড়ি বনানীতে শেখ সেলিমের বাসার উদ্দেশে রওনা হয়। বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও ভিড় করেন।বাদ আসর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে জায়ানের জানাজা হবে। পরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত গত রোববার শ্রীলংকায় ভয়াবহ বোমা হামলায় সেখানে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়া শেখ সেলিমের মেয়েজামাই মশিউল হক চৌধুরী গুরুতর আহত এবং তার নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হন। আট বছর বয়সী জায়ান রাজধানীর সানবিম স্কুলের ছাত্র ছিল।
শিশু জায়ান ছিল পরিবারের মধ্যমণি। পরিবার তো বটেই নানাবাড়ি-দাদাবাড়ির সব আত্মীয়র প্রিয়মুখ ছিল জায়ান। সবার সঙ্গে মিশতে পারত ছোট্ট জায়ান।
বাসায় এলেই নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠত সে। রাজনৈতিক শত ব্যস্ততার মাঝেও শেখ সেলিম নাতির জন্য সময় বের করতেন। তার প্রতি অন্যরকম একটা টান সবসময় অনুভব করতেন। ফুটফুটে নাতিকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল শেখ সেলিম।
জায়ান চৌধুরী নিহত হওয়ার খবরে সর্বত্র নেমে আসে শোকের ছায়া। রোববার রাতে এ খবর প্রকাশের পর দলমত নির্বিশেষে সবাই শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। শোকের ছায়া নেমে আসে বনানীর বাড়িটিতে।
এ বাড়িতেই নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নানি, দুই মামা- শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম, মা শেখ আমেনা ফজলুল করিম সোনিয়া, বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকত জায়ান। সারাক্ষণ ক্রিকেট খেলে মাতিয়ে রাখত সে। নানা-নানি, মামা-মামি, বাবা-মা এমনকি বাড়ির দারোয়ান-কেয়ারটেকারদেরও প্রিয় ছিল জায়ান। ক্রিকেট খেলায় সবার সঙ্গে গড়ে ওঠে তার সখ্য।