সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না উকিল সাত্তার

 

- Advertisement -

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া সংসদে যোগ দেয়ার ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেননি। আজ রোববার দুপুরে তিনি মানবজমিনকে বলেছেন আমি সিদ্ধান্তই নিতে পারছিনা, কি করা। এবিষয়ে সোমবার কথা বলবেন জানিয়ে বলেন শপথতো সোমবার দিন পর্যন্তই নেয়া যাবে। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি। এসময় দলের নেতাকর্মীদের কাছে তার যোগ না দেয়ার মনোভাবই স্পষ্ট হয়। জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক জহিরুল হক খোকন জানান-জেলা বিএনপি’র সভায় সংসদে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার যোগদান প্রসঙ্গে কোন কথা হয়নি।

তবে তিনি সংসদে যোগ দেবেননা। জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজও বলেছেন তার সংসদে যোগ দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থানকালে তার বাসা ও বিএনপি’র সভাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজর ছিলো।

জেলা বিএনপি’র ওই সভায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। সেকারনে দলের সিদ্ধান্তের সাথেই থাকবেন তিনি এমনটাই দলের নেতাকর্মীদের কাছে পরিস্কার হয়েছে। উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন। তিনি পান ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মোট ১৩২ কেন্দ্রের মধ্যে ১২৯ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা হয় ৩০ শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন। নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচনী এলাকার আশুগঞ্জ উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিত থাকে। পরে ৯ ই জানুয়ারী ওইসব কেন্দ্রে পুন: নির্বাচনের পর মোট ফলাফলে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার জয় ঘোষিত হয়।

অবশ্য ১২৯ কেন্দ্রের ফলাফলেও ১০ হাজার ১৫৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তিনি। এরআগে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া এই আসন থেকে ১৯৭৯,১৯৯৬ এবং ২০০১ এর বিতর্কিত ১৫ই ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে জয়ী হন। এরপর ২০০১ এর জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪ দলীয় জোট প্রার্থী মুফতী ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া। এর বদলে তাকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

এদিকে শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে জেলা বিএনপি’র ওই সভা। সম্মেলন হওয়ার ৫ বছর আর কমিটি অনুমোদনের ২ বছর পর জেলা বিএনপি’র প্রথম নির্বাহি কমিটির সভা ছিলো এটি। সাংগঠনিক নানা বিষয়-আশয় নিয়ে উত্তাপও ছিলো এতে। সভায় দলকে শক্তিশালী করতে জেলা ও উপজেলার সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের পরিচালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান,কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন জসীম প্রমুখ।

সর্বশেষ