spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় টাইগারদের

spot_img

বিশ্বকাপে টিকে থাকার বাঁচা-মরা লড়াইয়ের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দুর্দান্ত জয় তুলে নিলো বাংলাদেশ।আগে ব্যাট করে উইন্ডিজের দেয়া ৩২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪১.৩ ওভারে ৫১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচজয়ী (১২৪) রানের ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান। ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন লিটন দাস।

- Advertisement -

সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের সামনে ৩২২ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ (৯৬) রানের ইনিংস খেলেন শাই হোপ। এছাড়াও শিমরন হেটমায়ারের (৫০) ও এভিন লুইজের (৭০) রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে উইন্ডিজ।

সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে দু’দলেরই জয় ছাড়া বিকল্প নেই, এমন সমীকরণে টনটন কাউন্টি গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ওয়েস্ট উইন্ডিজ। টস জিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় উইন্ডিজকে।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে সাইফউদ্দিনের দারুণ ডেলিভারিতে বিধ্বংসী ওপেনার ঝড় তোলার আগেই উকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন ক্রিস গেইল। চাপে পড়া উন্ডিজকে প্রথম ধাক্কা কাটানোর যুদ্ধে নামেন এভিন লুইজ ও ওয়ানডউনে নামা শাই হোপ। দেখে শুনে খেলতে থাকা দুই ব্যাটসম্যানে জুটিতে গড়েন ১১৬ রান। কেলার ২৫তম ওভারে লুইজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাকিব। লুইজের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ৭০ রান। হোপ খেলতে থাকেন দেখে শুনে। লুইজের পর মাঠে নেমে ২৫ রান করে ফেরেন পুরান। ২৮ ওভারের পর থেকে রানের গতি বাড়াতে থাকে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। শাই হোপের সাথে হেটমাোর ওঠেন বিধ্বংসী হয়ে। মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মোস্তাফিজের বলে তামিমের তালুবন্দী হয়ে ফেরেন হেটমায়ার। ব্যাট করতে নেমে শেষদিকে ঝড় ওঠানো ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলকেও শূন্য রানে ফেরান মোস্তাফিজ। ঝড়া ওঠানোর আভাস দেয় জেসন হোল্ডারকে ফেরান সাইফ। ১৫ বলে ৩৩ রান করেন হোল্ডার। শেষদিকে ড্যারেন ব্রাভোর ১৯ এবং ওশান থামাসের ৬ রানের সুবাধে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবিয়ানরা।

বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান ৩টি এবং সাকিব আল হাসান ২টি উইকেট শিকার করেন।

৩২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে করে বাংলাদেশ। ৮ ওভারে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার মিলে তোলেন ৫০ রান। ভালো সূচনা করলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি সৌম্য। ইনিংসের নবম ওভারে দ্বিতীয় বলে দলীয় ৫২ রানের মাথায় ২৩ বলে ২৯ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে ক্রিস গেইলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম-সাকিব মিলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। ৫৩ বলে ৪৮ রান করে শেল্ডন কট্রেলের হাতে রান আউটের শিকার হন তামিম ইকবাল। দলীয় ১২১ রানের মাথা তামিম আউট হলে মাঠে নেমে (১) রান করে ফিরে যান গুরুত্বপূর্ণ উইকেট মুশফিক। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে সাকিব লড়ে যাওয়ার বাকি কাজটুকু সারতে লেগে পড়েন। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন লিটন দাস। এই ম্যাচে নামার আগে সাকিবের সামনে হাতছানি দিচ্ছিলো ছয় হাজার রানে মাইলফলকের স্পর্শ। উইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১তম ম্যাচ খেলতে নেমে সে কাজিট ইনিংসের ১৫তম ওভার করা ওশান থমাসের পঞ্চম দুই রান নিয়ে ছয় হাজার রান পূর্ণ করেন সাকিব। ৮৩ বলে তুলে নেন বিশ্বকাপের প্রথম এবং ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ১৬ চারে ১২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব। বিশ্বকাপে ৩৮৪ রান করে, ৩৪৩ রান করা অ্যারন ফিঞ্চকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন এই অলরাউন্ডার। এদিকে লিটন দাস বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪ রানের জন্য বঞ্চিত হলেন একটি রেকর্ড এবং সেঞ্চুরি থেকে। ৬৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রানের অপরাজিত থাকেন লিটন। রান বড়তি না থাকায় আর এগোতে পারননি তিনি। তাই সেঞ্চুরিও করা হলো না। চতুর্থ উইকেটে সাকিব-লিটনে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে করেন ১৮৯ রান। আর বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ৪১.৩ ওভারে ৫১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে।

উইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল ও ওশান থমাস একটি করে উইকেট শিকার করেন।

বল হাতে দুই উইকেট এবং ব্যাট হাতে ম্যাচ জয়ী ১২৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ