তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকার গণমাধ্যমের সংকোচনে বিশ্বাসী না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে কোনো আইন সরকার করবে না। গণমাধ্যমের প্রতিপক্ষ সরকার নয়।
বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাব অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সাংবাদিক ও সরকার পরিপূরক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন পত্রিকা বের করে বিভিন্ন করপোরেট গোষ্ঠী। তাদের করপোরেট নীতিমালা দ্বারা বিভিন্ন গণমাধ্যম চলছে। বর্তমানে স্বাধীন গণমাধ্যমের মূল শত্রু জঙ্গিবাদ, মাফিয়া চক্র, কালোবাজারি এবং বড় অপরাধীরা। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার জঞ্জালগুলো এখনো গণমাধ্যমে বিদ্যমান। এসব অনুচর চক্রগুলো গণমাধ্যমকে হুমকির মধ্যে ফেলছে। জঙ্গিবাদ সমর্থক সরকার কিংবা সামরিক শাসন দেশের ক্ষমতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
মন্ত্রী হাসানুল হক আরও বলেন, সরকার সাংবাদিকদের পক্ষে। নির্যাতনকারীদের বিপক্ষে। প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের উদ্দেশে প্রণীত নয়। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায়, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এবং ডিজিটাল অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান। এই প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হারুন হাবিব। সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। প্রথম আলো