চট্টগ্রামে ১৩ লাখ ইয়াবাসহ দুই সহোদর গ্রেফতার

চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ পিস ইয়াবাসহ মো. আশরাফ আলী (৪৭) ও মো. হাসান (২২) নামে দুই সহোদরকে গ্রেফতার করেছে। তারা বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গিলাতলী গ্রামের মৃত তৈয়বের পুত্র। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হালিশহর থানার শান্তিবাগ শ্যামলী আবাসিকের জেডএস এঞ্জেল বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলার ‘ফোরবি’ ফ্ল্যাট থেকে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুই সহোদর ছুটির দিন টার্গেট করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বক্কর ছিদ্দিক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ছুটির দিন বিশেষ করে ঈদ, শবেবরাত টার্গেট করে ইয়াবার চালানগুলো পাচার করে আশরাফ ও তার ভাই। তারা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির গিলাতলী এলাকার মৃত তৈয়বের। তারা দু’জন আপন ভাই। শ্যামলী হাউজিং সোসাইটির মসজিদসংলগ্ন বাসা থেকে জব্দ করা ইয়াবাগুলো মিয়ানমার থেকে বোটে করে আনা হয়েছিল। এয়ারটাইট বাক্সে পলিথিন মুড়িয়ে রশি বেঁধে ইয়াবার বাক্সগুলো সাগরে ফেলে দেওয়া হতো। এরপর ওই রশি বোটে বেঁধে টেনে আনা হতো ইয়াবা চালানগুলো। আশরাফ ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সৌদিআরবে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সৌদিআরব থাকাকালীন রোহিঙ্গা আব্দুর রহিমের সঙ্গে পরিচয় হয় আশরাফের। আব্দুর রহিম পরে আশরাফকে মায়ানমারের ইয়াবা ব্যবসায়ী লা মিমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। গত বছর ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে এসে পুরোপুরি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন আশরাফ। আশরাফ এ বছর এপ্রিলের ৭ তারিখে ঢাকা থেকে রেঙ্গুন যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়। শোবার ঘর থেকে ২টি বস্তায় ভরা ৩০টি বড় প্যাকেটে ৩ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়। এরপর ভবনের পার্কিংয়ে থাকা প্রাইভেট কারে (চট্টমেট্রো-গ-১১-৫৯২৪) ৫টি বস্তায় ১০০ বড় প্যাকেটে ১০ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়। এসব ইয়াবার ওজন প্রায় ১৩০ কেজি। বাজার মূল্য আনুমানিক ৪৫ কোটি টাকা। এ ঘটনায় আটক দুই ভাইকে আসামি করে হালিশহর থানায় মামলা দায়েরের প্রিিক্রয়া চলছে বলে জানান অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) অলক বিশ্বাস।

সর্বশেষ