ঝিমিয়ে পড়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন। টানা আন্দোলনের সক্ষমতা, সিন্ধান্ত গ্রহণের জটিলতা এবং সিটি কর্পোরেশনের নির্বচনসহ বিভিন্ন কারণে রাজপথে নেই নেতাকর্মীরা। তবে দলের সিনিয়র নেতারা বলছেন, সরকারের দমন-পীড়নের মুখে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারছেনা তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বন্দি হওয়ার পর কয়েক মাস রাজপথে সক্রিয় ছিল দলের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, কালো পতাকা প্রদর্শন আর লিফলেট বিতরণের মতো কর্মসূচি পালন করেছে তারা। দলটি জনসমাবেশও করেছে বিভাগীয়া পর্যায়ে। কিন্তু এপ্রিলে এসে ভাটা পড়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, স্বাভাবিকভাবে আমরা আন্দোলনটা করতে পারছিনা। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে। আর সেই জন্য আন্দোলনের কৌশল এক এক সময় এক এক রকম হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা মনে করি না নেত্রী আমাদের সাথে অনুপস্থিত। তার নির্দেশ এবং সব কিছু আমাদের সাথে আছে।
জানা গেছে মামলা মোকদ্দমা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দলের সক্রিয় নেতাকর্মীরা। আর সুবিধাভোগীরা ব্যস্ত নিজেদের অর্থ-সম্পদ রক্ষায়। এছাড়া রয়েছে টানা আন্দোলন চালানো সক্ষমতার ঘাটতি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিরোধী দল যাতে তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে না পারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে রাষ্টীয় শক্তিকে ব্যবহার করে। অথচ সরকারি দল যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে তারা কিন্তু পুরো দমে তারা তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। তারপরও আমরা এটাতে অংশগ্রহণ করছি কারণ আমরা চাই দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসুক।