spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

৪০ মণ ওজনের ‘কালাবাবু’!

spot_img

 

- Advertisement -

প্রায় ৪০ মণ ওজনের ‘কালাবাবুকে’ এবারও কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এই দেশীয় জাতের ষাঁড় গরুটি লম্বায় ৮ফুট; বয়স সাড়ে ৬ বছর।

গত কোরবানির হাটে এই ষাঁড় গরুটির মূল্য ক্রেতারা ৯ লাখ টাকা বললেও এবার বলছেন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু গরুটির মালিক মেহেদী গত ঈদের হাটে দাম হাঁকছিলেন ১৫ লাখ টাকা। বেশি ওজনের গরুর চাহিদা কম থাকায় তিনি এবার দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা।

এবার কোরবানির ঈদে ‘কালাবাবুই’ টাঙ্গাইলের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন মেহেদী।

গত কোরবানিতে এই গরুটির ওজন ছিল প্রায় ৩৭ মণ। সেই সময় ‘কালাবাবুকে’ ঢাকার একটি হাঁটে উঠানো হয়। সেখানে ক্রেতারা এ গরুটির দাম ৮/৯ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেহেদী বেশি দামের আশায় গরুটি ওই সময় বিক্রি করেননি।

এদিকে, এ ‘কালাবাবুকে’ দেখতে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন।

গরুর মালিক মেহেদী হাসান বলেন, ষাঁড়টি দেখতে কালো বলে নাম রেখেছি ‘কালাবাবু’। সে খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পরামর্শক্রমে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছি।

গত কোরবানিতে গরুটিকে ঢাকার একটি হাঁটে উঠানো হয়েছিল। তখন গরুটির ওজন ছিল প্রায় ৩৭ মণ। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় গত বছর ষাঁড়টি বিক্রি করিনি। এবার গরুটির ওজন হয়েছে প্রায় ৪০ মণ।

এ ‘কালাবাবুকে’ লালন পালন করতে এ পর্যন্ত ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর বিক্রি করতে না পারায় এবার দুশ্চিন্তায় আছি। বাজারে বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় এবার ক্রেতারা গরুটির দাম বলছেন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা।

গত বছর ১৫ লাখ টাকা চাইলেও এবার গরুটির দাম চাচ্ছি ১০ লাখ টাকা বলে জানান মেহেদী।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার বলেন, মেহেদী হাসান তার খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করা হচ্ছে। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সব থেকে বড় বলেও তিনি জানান।

বাসাইল থানার ওসি এসএম তুহীন আলী বলেন, যাতে করে কোনো কোরবানির পশু চুরি হতে না পারে। সে জন্য পুলিশের বিশেষ টহল চলছে। যুগান্তর

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ