কোরবানীর পশুর চামড়ার মূল্যর অস্বাভাবিক দরপতনের তদন্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে চামড়ার দরপতনের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চামড়ার মূল্যের অস্বাভাবিক দরপতন কেন অবৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন হানিফ এই রিট দায়ের করেন। খবর চ্যানেল২৪
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
কাঁচামালের সহজ লভ্যতার পাশাপাশি মূল্য সংযোজনের হিসেবে রফতানি আয়ের অন্যতম বড় উৎস চামড়াশিল্প। স্বার্থান্বেষী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে হঠাৎ দরপতন হয়েছে এ শিল্পের। কোরবানির চামড়ার দাম কমিয়ে সিন্ডিকেটের কোন উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত তা বের করা সম্ভব হয়নি। আকার অনুযায়ী গরুর চামড়া ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চামড়ার দরপতনে দুশ্চিতায় পড়েছেন কওমি মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলোর কর্তৃপক্ষ। এখন তারা কওমি মাদরাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংগুলো কিভাবে চালাবেন তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ এ সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সিংহভাগ অর্থ আসে কোরবানির চামড়া বিক্রি থেকে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত বুধবার বলেছেন, কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম কমার পেছনে ‘সিন্ডিকেটের কারসাজি’ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, তদন্তে যদি ধরা পড়ে যে চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করেছে, তা হলে যে ব্যক্তি যে মাত্রায় এ শিল্পের ক্ষতি করেছে, তার বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।