spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

আমাজনে আগুন : ব্রাজিলের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইউরোপের

spot_img

 

- Advertisement -

শুরুতে গুরুত্ব না দিলে আমাজনের আগুন নিয়ে হঠাৎ করেই সুর পাল্টেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের বোলসোনারো। শুক্রবার রাতে তিনি আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন।

প্রভাবশালী সাতটি দেশের নেতারা যখন জি-সেভেন সম্মেলনে মিলিত হবেন, তার একদিন আগে তার এই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাওয়ার কারণ কি? সিএনএন বলছে, বিশ্বনেতাদের তোপের মুখ থেকে বাঁচতে তিনি হঠাৎ করেই আমাজনের আগুন নিয়ে সিরিয়াস হয়েছেন।

শুরুতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট যখন উষ্ণতার জন্য আগুন লেগেছে বলেছিলেন, তারপরই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন তিনি জি-সেভেন সম্মেলনে বিষয়টি তুলবেন। কয়েকটি দেশ ঘোষণা দিয়েছে তারা ব্রাজিলের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক চুক্তি বাতিল করবে দেশটি আগুন পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে।

জি-সেভেন ভূক্ত দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে ফ্রান্সই সবার আগে আমাজন নিয়ে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই সম্মেলনে আমাজনের আগুন প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হলে সেটি যে ব্রাজিলের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না সেটি বোঝাই যাচ্ছে। তবে এর বাইরেও কয়েকটি দেশ বিষয়টি নিয়ে ব্রাজিলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। সারা বিশ্বের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেলেব্রেটি, সুশীল সমাজ এই আগুনের বিষয়ে স্বোচ্চার হয়েছে।

আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা
জি-সেভেন নেতারা আমাজন ধ্বংস এড়াতে যে ব্রাজিলের ওপর কঠোর হবেন সেটি বোঝাই যাচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ টুইট করেছেন, ‘আমাদের ঘর পুড়ে যাচ্ছে। মহাবন আমাজন- যেটি পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত এবং সারা বিশ্বের ২০ শতাংশ অক্সিজেন জোগান দেয়’।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী দফতরের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন মনে করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই বনটি রক্ষায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ দরকার। তিনি পরিবেশ সুরক্ষায় জি-সেভেন জোটকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার টুইটারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগুন নেভাতে সহযোগিতা করতে চায়।

জার্মানির পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী সেভেনজা শুলজ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে লাতিন অঞ্চলের বাণিজ্য যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমাজন বনের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, আমার যে কোন মূল্যে এই বনকে রক্ষা করতে চাই।

কাজেই আগুন নিয়ে ব্রাজিল যে বড় ধরনের চাপে পড়েছে সেটি বোঝাই যাচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলো এ ব্যাপারে স্বোচ্চার সবচেয়ে বেশি।

এদিকে ইউরোপের এই প্রতিক্রিয়ায় চটেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এই আগুনের ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। দাবনল সারা বিশ্বেই ঘটে চলছে। এজন্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়ার কিছু নেই।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ