প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিনা ভোটের সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে বিপর্যপ্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। শেয়ারবাজার, ব্যাংক, কয়লা, পাথর, পর্দা, বালিশ, টিন সবকিছুতেই দুর্নীতি।
হঠাৎ অভিযানে শত শত কোটি টাকা, ক্যাসিনো, মদ ও জুয়ার আসরের খবরে আওয়ামী লীগের থলের বিড়াল বেরিয়ে গেছে। চারদিকে ডুবে গেছে লুটপাট, খুন, ধর্ষণ, মদ, জুয়া, ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি আর অনাচারে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে নূর আহমদ সড়কে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় শ্রমিক দলের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত আরও বলেন,imageক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজদের হরিলুটে গোটা দেশটা ফোকলা হয়ে গেছে। যুবলীগ নেতাদের কাছে থাকা অবৈধ টাকা দিয়ে বাংলাদেশে আরো একটি পদ্মাসেতু করা সম্ভব। অথচ লোক দেখানো অভিযানে অধরাই থেকে যাচ্ছে মাদক ও দুর্নীতিবাজদের গডফাদাররা। এ সরকার এরশাদ-মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের দুঃশাসনকেও হার মানিয়েছে।
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠনের চুনোপুঁটি নেতারা এখন আঙ্গুল ফুলে একেকটা বটগাছ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাদের ঘরে ঘরে এখন ব্যাংক বানানো হয়েছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাবগুলো দখল করে জুয়া আর ক্যাসিনো ক্লাবে পরিণত করেছে। দেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শ. ম. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম (ডক), সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি তাহের আহমদ, উত্তর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কামাল পাশা, নগর মহিলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের প্রচার সম্পাদক শফিকুর রহমান মজুমদার, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, উত্তর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, মো. মুজিবুল হক, নগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, শ্রমিকদল নেতা মো. জসিম মিয়া, মো. হারুন, আবু বক্কর সিদ্দিকী, আবদুল মান্নান, মো. ফরিদ, মো. রফিকুল ইসলাম, নুরুন্নবী, মো. ইসমাইল খান, বাহার উদ্দিন, মো. হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আবদুল আজিজ, মিজানুর রহমান, শেখ ফরিদ, হাসিবুল হাসান বিপ্লব, দেলোয়ার হোসেন, এস এম জাকারিয়া, মো. জিলানী, রুহুল আমিন, আবদুস সাত্তার প্রমুখ।