গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিএমডাব্লিউ উপহার দিয়েছিলেন ‘ক্যাসিনো’ সেলিম

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: অনলাইনে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মূলহোতা সেলিম প্রধানের সঙ্গে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সখ্য ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার সেলিম প্রধানের বাসা ও অফিসে অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, সেলিমের সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সখ্য ছিল। তাকে (গিয়াস উদ্দিন আল মামুন) বিএমডাব্লিউ গাড়িও গিফট করেছিলেন সেলিম প্রধান। এ ছাড়া আমরা জানতে পেরেছি, বিভিন্নভাবে লন্ডনেও টাকা পাঠিয়েছেন সেলিম।

সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান থেকে সেলিমকে নামিয়ে আনে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, বিদেশি মদ ও অত্যাধুনিক ক্যাসিনো সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ‘ক্যাসিনো’ সেলিম জানান, তার অনলাইন ক্যাসিনো থেকে আয়ের অবৈধ টাকা তিন ব্যাংকে জমা রাখতেন। পরে সে সব টাকা হুণ্ডি বা সঙ্গে করে বিদেশে পাচার করতেন। লন্ডনেও তিনি সে সব টাকা পাচার করতেন বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

কী পরিমাণ টাকা লন্ডনে পাচার হয়েছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, একটা গেটওয়ে থেকে প্রতি মাসে ৯ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। এমন আরও কিছু গেটওয়ে রয়েছে, সেগুলো আমরা যাচাই-বাচাই করে দেখছি।

লন্ডনে পাচারকৃত টাকা তারেক রহমানের কাছে যেত কিনা? সাংবাদিকদের এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব-১ এর এ অধিনায়ক বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখব।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সেলিমের সহযোগী আক্তারুজ্জামানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনানীর ২ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর ভবন থেকে ২১ লাখ টাকা জব্দ করে র‌্যাব। এর আগে সোমবার রাতে সেলিমের গুলশানের বাসা থেকে আক্তারুজ্জামানকে আটক করা হয়। সোমবার রাতে সেলিম প্রধানের গুলশানের কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও দেশি-বিদেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়। রাতেই তার গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর সড়কে ১১/এ বাড়িতেও অভিযান শুরু করেন র‌্যাব সদস্যরা।

এর আগে সোমবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট থেকে ক্যাসিনো সেলিমকে নামিয়ে আনে র‌্যাব-১ এর একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নিয়ে গুলশান-২ এ তার বাসা কাম অফিস ‘মমতাজ ভিশনে’ অভিযানে যায় র‌্যাব। প্রথমে সেলিমকে সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে যায় র‌্যাবের তিনটি গাড়ি। পরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০টিতে। টানা ১৬ ঘণ্টা সেখানে অভিযান চলে। অভিযানের সময় সেলিম প্রধান ওই বাসার ভেতরে র‌্যাবের সঙ্গে ছিলেন। পরে সোমবার রাতে গুলশানের বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব।

সেলিম প্রধান অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনাকারী এবং বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান। তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সহসভাপতি। এ ছাড়া এর আগে গ্রেফতার হওয়া বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ক্যাশিয়ারও।

সর্বশেষ