প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: বর্তমান পেশা কাউন্সিলর, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী, ওয়ার্ড চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সাবেক পেশা ২৫০০ টাকা বেতনভুক্ত সুপারভাইজার ইস্পাহানি মিলস লিঃ। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ইস্পাহানি মিল থেকে চাকরি ছেড়ে এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে অবৈধ কর্মকান্ডকে পেশা হিসেবে চলিয়ে আসছেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনের পর প্রশাসনের ছত্রছায়ায় জহুরুল আলম জসিম এলাকায় মাদক, দখলবাজি, শত শত একর পাহাড় কেটে সরকারি খাস জায়গা অবৈধভাবে বিক্রয়, বিশ্বব্যাংক হাউজিং এস্টেট এর কবরস্থান দখল করে জায়গা বিক্রয়, সিএনজি-বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিনের চাঁদা আদায়, কৈবল্যধাম হাউজিং এস্টেট এর ১৬০টি দোকান ঘর অবৈধভাবে দখলসহ নানান অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড ।
গরিব ঘরের সন্তান বর্তমানে শত শত কোটি টাকার মালিক! চড়েন বিলাশ বহল গাড়িতে, একজন সামান্য মিলের সুপারভাইজার থেকে শত কোটির মালিক হওয়া নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্নের জন্ম হয়েছে, কি আলাদিনের চেরাগটা পেলেন তিনি ?
বর্তমানে নামে বেনামে তাহার আনুমানিক ৩০০/৪০০ কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, তাহার মধ্যে দৃশ্যমান বিশ্বব্যাংক কলোনিতে ১৭টি প্লট যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা, ফিরোজশাহ কলোনিতে ৬টি প্লট এবং ২টি ৬তলা বাড়ি যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০ কোটি টাকা, গিরিধারা হাউজিং এ ৭কাটা সমমান এর ৪টি প্লট যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০ কোটি টাকা, জয়ন্তিকা আবাসিকে ১৩টি প্লট যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৮/১০ কোটি টাকা, লেক সিটি হাউজিং এ ৬টি প্লট যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা, লেক সিটি হাউজিং সংলগ্ন অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বিভিন্ন দাগে মোট ২০কানি(৪০০ গন্ডা) যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৮০/৯০ কোটি টাকা, হারবাতলী শাপলা আবাসিক এলাকায় আরো অন্তত ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে,।
সেভেন মার্কেট বাজার যা কৈবল্যধাম হাউজিং এস্টেট এর মালিকানাধীন ১৬০টি দোকানে প্রতি দোকান এককালিন ১ লক্ষ টাকা যার মোট ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা এবং দোকান প্রতি প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে কালেকশন হয় যার মাসিক প্রায় ৮/৯ লক্ষ টাকা আয় হয়।
সেভেন মার্কেট সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা যা মাসিক ৩ লক্ষ টাকা আয় হয়। জহুরুল আলম জসিম তার বিশ্বস্ত গ্যাং বাহিনী ধারা এলাকায় দখলবাজি প্রভাব বিস্তার করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
লেক সিটি প্রকল্পের বাহিরে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় শত শত একর পাহাড় কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গড়েছেন ব্যক্তিগত বিশাল ডেইরি ফার্ম , এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রচার হয়েছে, যার হেডলাইন ছিল পাহাড়টিলা কেটে প্লট বানিজ্য কাউন্সিল এর, পাহাড় কাটা মামলায় কাউন্সিল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, পাহাড় কাটার মহোৎসব, অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব, আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধে এমপি দিদারের অভিযান।
এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পরও প্রশাসন নিরব থাকায় অদ্যাবদি শত শত একর পাহাড় বিলীন করে জসীম শত শত কোটি টাকার মালিক। ২০১৭ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর কাউন্সিলর জসিমকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট প্রদান করে। উক্ত মামলা ধীরগতিতে বিচারাধীন।
এরকম শত শত অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে কাউন্সিলর জসিমের বিরুদ্ধে সিএমপি পশ্চিম বিভাগে উপ পুলিশ কমিশনার এর দপ্তরে ১১৫টি অভিযোগ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ২০টির অধিক চাঁদাবাজি-দখলবাজি-পাহাড়কর্তন- অস্ত্র মামলা রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে স্বন্দীপের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কেডারকে আকবরশাহ যুবলীগ নেতা বানানোর অভিযোগ রয়েছে যার মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করানো হয়, এবং তার ছত্রছায়ায় একাধিক কিশোর গ্যাং এর সদস্য এলাকায় নানান অপরাধ মূলক কাজে লিপ্ত। এনিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জানান, তিনি দলের সুনাম নষ্ট করছে, দলের নাম ভাঙিয়ে, ও কাউন্সিলরের সাইনবোর্ড দেখি দখনবাজি পাহাড়কাটা দখলসহ নানাম অপরাধ করছে।
যার মাধ্যমে ৪ বছরে অবৈধ ভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক বনেছে। তারা বলেন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই সারা দেশে যে ভাবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান হচ্ছে, এই কাউন্সিলরের বিরোদ্ধে সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়। সূত্র: বাংলাদেশ টুডে