শনিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫
spot_img

খালেদা জিয়া বাম হাত নাড়াতে পারছেন না

 

- Advertisement -

দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। তার বাম হাত ঠিকমতো নাড়াতেই পারছেননা বলে উদ্বেগ প্রকাশ অতিদ্রুত তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছে দলটি। গতকাল বিকেলে পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। পরে গতরাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানিয়ে বলেন, ম্যাডামের পরিবারের সদস্যরা বিকেলে সাক্ষাতের পর তাদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটেছে, অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাম হাত ভারী বোধ করায় তিনি এখন নাড়াতেই পারছেন না। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এতো বলার পরও কেনো দেশনেত্রীকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না? সরকারের উদ্দেশ্যটা কী? আমরা আবারো দেশনেত্রীকে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে দ্রুত সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার বিষয়গুলো তুলে ধরে অতি দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইউনাইডেট হাসপাতালে প্রেরণের কথা বলেন।

দলের চেয়ারপারসনের কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর প্রতি সরকারের এহেন কার্যক্রমে আমরা আশঙ্কা করছি যে, বেগম খালেদা জিয়াকে আরো অসুস্থ করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্যই একটা হীন উদ্দেশ্যে তারা এমন নির্দয় আচরণ করছে। একজন জাতীয় নেতার সঙ্গে সরকারের এহেন আচরণ কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না।

গতকাল সোমবার বিকেলে পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন তার সেজ বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই সাঈদ এস্কান্দরসহ পরিবারের ৫ জন সদস্য। এক ঘন্টার বেশি সময় পরে তারা কারাগার থেকে বের হন। সর্বশেষ গত ৪ মে পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছিলেন।

সর্বশেষ