গত বুধবার হিব্রু ভাষার একটি সংবাদ মাধ্যম বলেছে, বিশ্বকাপের আগে ইসরাইলের সাথে প্রীতি ম্যাচ বাতিল করতে পারে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। বেশ কিছুদিন ধরেই ইসরাইলের সাথে প্রীতি বাতিল করতে আর্জেন্টিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চলছে প্রচারণা।
বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচটিই আর্জেন্টিনার সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা ম্যাচটি বাতিল করতে পারে বলে জানিয়েছে ওই সংবাদ মাধ্যমটি। যদিও ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে ম্যাচটি যথা সময়ে হবে।
ওয়াইনেট নামের সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, আয়োজকরা প্রস্তুতি ম্যাচটি জেরুসালেম থেকে স্পেনে স্থানান্তরিত করার কথাও ভাবছে। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ম্যাওরিসিও ম্যাক্রির ওই ম্যাচটি দেখতে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনিও সফর বাতিল করার কথা ভাবছেন বলে শোনা গেছে। গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি সৈন্যদের বর্বরতার পর এই খবরটি এলো। শুক্রবার গাজায় ৬২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।
পরবর্তীতে একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা ওয়াইনেটকে বলেছেন, ম্যাচ বাতিলের খবরটি মিথ্যা। ৯ জুন নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ হবে। তবে সেটি জেরুসালেম থেকে হাইফায় সরিয়ে নেয়া হতে পারে। শুক্রবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
ইসরাইলকে বয়কট করার প্রচারণা চালায় এমন সংস্থা বিডিএস গত মাসে এই ম্যাচ বাতিলের দাবিতে প্রচারণা শুরু করে। তার এই ম্যাচ বাতিলের দাবিতে আর্জেন্টিনার ফুটবল ব্যক্তিত্বদের কাছে চিঠিও দেয়।
বিডিএস আর্জেন্টিনা নামে একটি গ্রুপও এই ম্যাচ বাতিলের দাবিতে প্রচারণার চালায়। ‘আর্জেন্টিনা ইসরাইলে যাবে না’ এমন শ্লোগান নিয়ে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালায়।
এ বিষয়ে টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। ভিডিওতে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সময় ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিতে তিনি পঙ্গু হয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি ফুটবলার মোহাম্মদ খলিল মেসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিদের প্রতি আহ্বান জানাতে ও ইসরাইলে ম্যাচ না খেলতে।