খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারা দেশে কাল বিএনপির বিক্ষোভ

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারা দেশের জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। রাজধানীর নয়াপল্টনে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

রাজধানীসহ সারা দেশে রোববার বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের বাধা ও নেতাকর্মীদের আটকের নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী ক্যাডারদের আক্রমণে কোতোয়ালি থানা বিএনপি নেতা লিমন, চকবাজার থানা বিএনপির নেতা আতিক, মঈন, হৃদয়সহ ৫ জন এবং শাহবাগ থানার আবদুর রশিদ, সুমন, শাকিল, সুজনসহ ১০-১২ জন আহত ও শাহবাগ থানা বিএনপির রফিক নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন।

খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশঙ্কায় আছেন দাবি করে তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে তার ভাই-বোন-স্বজনরা সাক্ষাৎ করার আবেদন করলেও কারা কর্তৃপক্ষ শেখ হাসিনার নির্দেশে অনুমতি দিচ্ছেন না।

গত ২৫ দিন হল তার স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ফলে তাকে নিয়ে আমরা চরম শঙ্কা ও উৎকণ্ঠায় আছি। একজন বন্দির সঙ্গে স্বজনদের দেখা করতে না দেয়া এক চরম মানসিক নিপীড়ন। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান তিনি।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে এখনই জামিন ও সুচিকিৎসা দরকার। তাই আমরা জনগণের পক্ষ থেকে সরকারকে বলতে চাই- এবার কোনো রকমের টালবাহানা করে তার জামিনে বাধা দেবেন না। এসময় অবিলম্বে পাটকল শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর থানায় থানায় বিক্ষোভ : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মির্ছিল করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার ঢাকার থানায় থানায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ কয়েক জায়গায় বাধা প্রদান করে।

মিছিল থেকে কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

শাহবাগ থানা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাহিদ হোসেন নোওয়াব ও রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সামনে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অমর একুশে হলের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় রফিক নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি, কদমতলী থানার সভাপতি হাজী মীর হোসেন মীরুর নেতৃত্বে একটি মিছিল জুরাইন রেলগেট থেকে দোলাইরপাড় বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

এতে কদমতলী থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুম্মন চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল রানা, সেলিম রেজা, আলমগীর খান লিপু, তরিকুল ইসলাম পলাশ, আনোয়ার হোসেন স্বপন, মাহাবুব, নাসির, মুজাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শ্যামপুর থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আলিমুল আল বারী জুয়েলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল দোলাইরপাড় বাসস্ট্যান্ড নতুন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মীরহাজীরবাগ চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।

এতে ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, আ. মান্নান, সালাউদ্দিন রতন, শফিকুল, শামীম আহমেদ, নাসিরা, রাশেদ খানসহ থানা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে একটি মিছিল শহীদ ফারুক রোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নিউমার্কেট, কামরাঙ্গীর চর, ডেমরা, খিলগাঁও, রমনা, মতিঝিল, গেণ্ডারিয়া, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, মুগদা, কলাবাগান, ধানমণ্ডি, পল্টন, সবুজবাগ, ওয়ারী ও সূত্রাপুর থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ হয়।

এদিকে বনানী থানা বিএনপির একটি মিছিল সিটি কর্পোরেশন মার্কেট থেকে শুরু হয়ে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

এতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হক, বনানী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাচ্চুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বাড্ডা থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড থেকে শুরু হয়ে সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন বাড্ডা থানা বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের বাবু। ভাটারা থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামসুল হক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, থানা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম কাজী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আজহারুল ইসলাম সেলিম, মোহাম্মদ আলী, হেলাল ঢালী, ফরিদ মৃধা, স্বপন টিটু, মাহমুদুর রহমানসহ থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

মিরপুর থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আবদুল ও সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলুর নেতৃত্বে হয়। রামপুরা থানা বিএনপির একটি বিক্ষোভ মিছিল আবুল হোটেলের সামনে থেকে শুরু হয়ে রামপুরা বাজারে গিয়ে শেষ হয়।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এজিএম শামসুল হক, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জহির, রবিউল ইসলাম রবি, মোরশেদ আলম বাবু, কামাল আহমেদ দুলু, নিলুফার ইয়াসমিন নিলু প্রমুখ। মোহাম্মদপুর থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলী কায়সার পিন্টুর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিক নেতা সিরাজ মুন্সি, জাহাঙ্গীর খা, ইয়াছিন দেওয়ান, নুর আলম প্রমুখ।

এছাড়া তুরাগ, বিমানবন্দর, উত্তরা পূর্ব, মোহাম্মদপুর, আদাবর, দক্ষিণ খান, উত্তরা পশ্চিম, শাহআলী থানার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়।

সর্বশেষ