প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
শুধু আর্থিক খাতে নয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতিও সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগুলোর অন্যতম। আমাদের দেশে এখন সব ধরনের দুর্নীতি শুরু হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন- জাসাসের নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে সেখানে যান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আর্থিক দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পড়েছে যে, সেখানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হচ্ছে। আজকে দুর্নীতির মাধ্যমে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
এখানে একটি-দুটি নয়, শেয়ারবাজার, ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বিদ্যুতের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি- এই বিষয়গুলো এমন একটা জায়াগায় পৌঁছেছে যে, এখন বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
শুদ্ধি অভিযানের নামে শুধু ছোটখাটো দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার করা হচ্ছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা বড় বড় রুই-কাতলা, যারা সমাজকে গ্রাস করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, আজকে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিয়ে বর্তমান সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে।
বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, এসব পুরনো কথা। এর গুরুত্ব হারিয়ে গেছে। এই কথাগুলো বলা ছাড়া তাদের তো কোনো উপায় নেই। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার কোনো জায়গা নেই, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের কোনো ভিত্তি নেই।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের উচিত এখন জনগণের কাছে যাওয়া। এত যদি তারা মনে করে যে, তারা জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তাহলে এই নির্বাচনের (একাদশ সংসদ নির্বাচন) ফলাফলকে বাতিল করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলেই তো ব্যবস্থা হয়ে যায়। প্রমাণ হয়ে যাবে জনগণের কাছে কোন দল জনপ্রিয়। জনগণও সত্যিকার অর্থে তাদের প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার পাবে।
১২ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের শুনানির প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগে দেখি কী হয়। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাসাসের সভাপতি মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান মনির, ইথুন বাবু, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম রিপন প্রমুখ। গত ২৩ নভেম্বর মামুন আহমেদ ও চিত্রনায়ক হেলাল খানের নেতৃত্বে জাসাসের ১৮৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি। সূত্র:: দৈনিক যুগান্তর