ভিটামিন ‘এ’র ঘাটতি পূরণ হলে শিশু মৃত্যুহার কমে

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: ভিটামিন ‘এ’র ঘাটতি পূরণ হলে শিশুদের সব ধরনের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুহার ৩৩ শতাংশ কমে যায়। বুধবার সকালে প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশে (পিআইবি) আয়োজিত এক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০১৯-এর দ্বিতীয় রাউন্ড উপলক্ষে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. বিল্লাহ হোসেন, পিআইবির উপপরিচালক পারভিন সুলতানা রাব্বী প্রমুখ। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বিস্তারিত জানাতে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।

সভায় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. কেএম মামুন। তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’র অভাবে রাতকানা, কনজাঙ্কাটিজার স্পট (চোখে স্থায়ী সাদা দাগ), চোখের শুষ্কতা, বিটট স্পট, কর্নিয়া শুষ্কতা, কর্নিয়ার শিরা শুকিয়ে যাওয়া, কর্নিয়ায় স্থায়ী দাগসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এমনকি চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’র অভাবে শিশুদের ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়ে থাকে এবং ডায়রিয়া হলে শিশুর সুস্থ হতে সময় লাগে। এসব শিশুদের হামসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে, এমনকি একাধিকবারও হতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’র অভাবে শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ত্বক শুষ্ক ও মলিন হয়ে যায়। সভায় জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ ক্যাপসুলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের সব কেন্দ্র একযোগে টিকা খাওয়ানো হবে।

সর্বশেষ