প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: টেক্সাসের লেফটেনেন্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের জনস্বাস্থ্যমূলক পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ক্ষতি দেখার চেয়ে বৃদ্ধদের মরে যাওয়াই ভালো। সোমবার ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ড্যান প্যাট্রিকের সুরেই সুর মেলাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে শিগগিরই এই লকডাউন তুলে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, লকডাউন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্ম হয়নি। শিগগিরই ফের আমেরিকা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
তবে ট্রাম্প ও রিপাবলিকান নেতাদের লকডাউন তুলে নেয়ার তৎপরতায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার জন হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির পরিচালক টম ইংলেসবি এক টুইটার বার্তায় হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এখনই লকডাউন তুলে নিলে যুক্তরাষ্ট্রে আরও দ্রুত ও ভয়ানকভাবে ছড়িয়ে পড়বে করোনা। এতে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে দেশে চলছে লকডাউন এবং জরুরি অবস্থা। একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। ১৫ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে পুরো দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২টিরও বেশি রাজ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।
রোগের বিস্তার রোধে জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়ে চলতি মাসের ১৬ মার্চ নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প। এতে সামাজিক পৃথকীকরণ বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়। এর সময়সীমা ফুরিয়ে আসছে।
এদিকে ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘১৫ দিনের সময়সীমা শেষ হলেই আমরা নতুন করে সিদ্ধান্ত নেব। ট্রাম্প আরও বলেছেন, করোনাভাইরাসের জন্য নেয়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং এতে তিনি উদ্বিগ্ন। তাই যত দ্রুত সম্ভব তিনি দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে চান।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আত্মহত্যা বাড়তে পারে। মৃত্যুর এই সংখ্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লোকদের চেয়েও বেশি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে একমত পোষণ করে প্যাট্রিক বলেন, ‘এভাবে আর কয়েক মাস চললে আমাদের সমাজকে আমরা পুরোপুরি পতন, মন্দা, হতাশার দিকে নিয়ে যাব। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মৃত্যুর হার অনেক কম। এর জন্য আমাদের পুরো দেশ অচল করে দিতে হবে? আমি মনে করি, আমরা কাজে ফিরে যেতে পারি।’
এ বিষয়ে সোমবার ড্যান প্যাট্রিক বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক মন্দা দেখার আগে আমি বরং মরে যাব। আমার বিশ্বাস, যক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার ‘দাদা-দাদিরাও’ আমার সঙ্গে একমত হবেন। আমার বার্তা হচ্ছে- আপনারা কাজে ফিরে যান, জীবনযাপনে ফিরে আসুন, এ ব্যাপারে স্মার্ট হন এবং আমাদের যাদের বয়স ৭০-এর বেশি, তারা নিজেদের যত্ন নিজেরাই নেব।