মদ্যপানকে না বলুন: ইপসা

 

- Advertisement -

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: মদ্যপানের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। মদ্যপানের ফলে মানবদেহে ২০০ ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। গবেষণা হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, নিয়মিত মদ্যপানের কারণে সারাবিশে^ প্রতিবছর ৩০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া বিশে^র ৭ দশমিক ২ শতাংশ অকালমৃত্যুর কারণ মদ্যপান। মদ্যপান শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই তৈরি করে না, মদ্যপান ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতিও হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত মদ্যপানের বিষয়ক কোন বিস্তারিত জরিপ না থাকলেও বৈশি^ক গবেষণা হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী মদ্যপানকারীর সংখ্যা শতগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ধূমপানের মতো মদ্যপানও তরুন সমাজকে আরো মারাত্মক নেশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই, মদ্যপান থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে রাখতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আজ শনিবার (৩ অক্টোবর, ২০২০) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ব অ্যালকোহলমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ইপসার উপ পরিচালক নাছিম বানুর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইপসার প্রধান নির্বাহী মো. আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৯৮৫ সালে ইপসার জন্মলগ্ন থেকেই আমরা মাদক, মদ্যপান ও ধূমপানের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছি। গত ১০ বছর ধরে, ইপসা চট্টগ্রামে তামাকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কোভিড-১৯ এর মহামারীর এই সময়ে মদ্যপানের ক্ষতির বিষয়টি সারাবিশে^ ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন বৈশি^ক গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ এ সারাবিশে^ আত্মহত্যার অন্যতম কারণ ছিল মদ্যপানের আসক্তি। দেশে দিনদিন মদ্যপানের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এসডিজি অর্জনের পথে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই, সকলকে ধূমপান ও তামাকের পাশাপাশি মদ্যপানের বিষয়েও সতর্ক হতে হবে।’
সুইডেন ভিত্তিক সংস্থা মুভিং দ্যা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্কের সদস্য হিসেবে মদ্যপান হ্রাসে সচেতনতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য আয়োজিত এ সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী, পরিচালক (অর্থনৈতিক উন্নয়ন) মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী, প্রোগ্রাম অফিসার মো. ওমর শাহেদ হিরো, প্রোগ্রাম অফিসার সবুর, মোর্শেদ। এছাড়া সভায় ইপসার বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মদ্যপানের স্বাস্থ্যগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেম্বলিতে বিশ^ অ্যালকোহল মুক্ত দিবস পালনের প্রস্তাব পেশ করা হয়। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলেও ২০১৬ সাল থেকে বিশে^র বিভিন্ন দেশ ৩ অক্টোবরকে বিশ^ অ্যালকোহল মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

সর্বশেষ