প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা একচোখা হবেন না। আমরা যেখানে প্রোগ্রাম দেই তার আগে প্রশাসনকে জানিয়ে দেই। আওয়ামী লীগও সেখানে প্রোগ্রাম দেয়। কেন? তালবাহানা করলে আমরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করব। সোমবার গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টায় ৫০নং ওয়ার্ড থেকে গণসংযোগ শুরুর কথা ছিল ধানের শীষ প্রার্থীর। কিন্তু সেখানে বিএনপি, মহিলা দলসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা জমায়েত হলে তাদের উপর একদল যুবক হামলা করে। পরে উত্তরা ১০ নম্বর ও ১১ নম্বর সেক্টরে গণসংযোগ শেষ করেন জাহাঙ্গীর। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ৫০নং ওয়ার্ডে আমাদের গণসংযোগ ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করেছেন। আমি ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হামলা করে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। ধানের শীষের পক্ষে জনস্রোত দেখে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে নিয়ে এই ভোট যুদ্ধে শামিল হতে চাই। রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠে আছি, থাকব। জয় নিয়েই ঘরে ফিরব ইনশাহআল্লাহ।
বক্তব্য শেষ করে এসএম জাহাঙ্গীর নিজেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ধানের শীষের পক্ষে শ্লোগান ধরেন।
এ সময় বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন দলের স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, হায়দার আলী খান লেলিন, ঢাকা মহানগর নেতা মুন্সি বজলুল বাসিদ আনজু, মহিলা দলের পিয়ারা মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফকরুল ইসলাম রবিন, রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, যুবদলের মোস্তফা কামাল রিয়াদ প্রমুখ।
এছাড়া দিনভর উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নেতারা। গণসংযোগকালে বিভিন্ন শপিংমলে ও রাস্তায় ভোটারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। গনসংযোগ শেষে মিছিল সহকারে হাউজ বিল্ডিংয়ে বিএনএস টাওয়ারের পাদদেশে নির্বাচনী পথসভার মাধ্যমে দিনের প্রচারণা শেষ হয়। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. একেএম মাসুদ আখতার জিতুর পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিষ্টার নাসির উদ্দীন আহম্মেদ অসীম, কৃষিবিদ প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডি, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ড্যাব যুগ্ম-মহাসচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড. আবুল হাসনাত মো. শামিম, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কৃষিবিদ আনিসুজ্জামান, এম-ট্যাব মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, এম-ট্যাব সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব দবির উদ্দীন তুষার, কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জনি, ডা. গালিব হোসেন, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. লাবিদ রহমান, কৃষিবিদ রাকিবুল ইসলাম, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, প্রফেসর খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, ঢাবি ছাত্রদল আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম, ডা. আসিফ আহম্মেদ খান, ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মারুফ এলাহী রনি, এম-ট্যাব যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুর রশিদ মামুন, এম-ট্যাব দফতর সম্পাদক আবুল কাশেম আশিক, গাজীপুর জেলা ছাত্রদল সভাপতি সম্রাট ভুইয়া, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সানজিদা ইয়াসমিন তুলি প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গণতন্ত্রের পক্ষে, দেশের পক্ষে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের মহামারী, বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে দুর্বিপাকে জনগণের পাশে আছে ও থাকবে। উত্তরা উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রচারণা প্রতিদিন অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেন তিনি।
এছাড়াও খিলক্ষেতের বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের প্রচারা চালান মহিলা দলের সভাপতি, আফরোজা আব্বাস, বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।