যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে রক্তপাত এবং সম্পদহানি

 

- Advertisement -

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: চীন একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে। আমি বহু শ্রমঘণ্টা চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ব্যয় করেছি এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমাদেরকে কিসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে হবে। বৈশ্বিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর বিস্তার ঘটিয়ে চীন দীর্ঘ খেলা খেলছে। এজন্য তারা চীনের বাইরে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক মডেলের বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে। এদিকে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যারা ঘনিষ্ঠতম মিত্র, সেটা কানাডা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত সবাই তার চোখে হয়ে উঠেছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

 

 

 

 

আর সেটা করতে গিয়ে তিনি এসব মিত্র দেশের সঙ্গে অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং নৈরাজ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এভাবে আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে মার্কিন অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার পরিধিকে সংকুচিত এমনকি বিচ্ছিন্ন করার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প আমাদের দেশের পক্ষে প্রকৃত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক হুমকি মোকাবিলা করার সামর্থ্যকে কমিয়ে দিয়েছেন। চীনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখানোর কোনো দরকার নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। চীন যদি তার পথেই চলতে থাকে, তাহলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তি এবং ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হরণ করবে। তারা একই সঙ্গে তাদের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলোকে ভর্তুকি দেবে। এর ফলে চীনা কোম্পানিগুলো একটা অন্যায্য সুবিধা পেয়েই চলবে। এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এবং শিল্পে তারা তাদের খবরদারি বজায় রাখার চেষ্টা করবে।

 

চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তার পীড়নমূলক আচরণ প্রতিরোধের জন্য মিত্রদের নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট গড়ে তুলতে হবে। এটাই হবে চীনকে মোকাবিলার সব থেকে কার্যকর কৌশল। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন, পরমাণু বিস্তার রোধকরণ এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কেও মার্কিন অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ জিডিপি’র প্রতিনিধিত্ব করে। এরপর আমরা যখন আমাদের সহযোগী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে একত্রিত হবো, তখন আমাদের শক্তি বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হবে। আর তখন সেই বৈশ্বিক অর্থনীতির অর্ধেকের বেশি শক্তিকে চীন অগ্রাহ্য করে পার পাবে না। আর সেটা আমাদেরকে পরিবেশ থেকে শ্রম, বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং ট্রান্সপারেন্সি বা স্বচ্ছতার বিষয়গুলোতে নিয়মনীতি অনুযায়ী চলার ক্ষেত্রে আমাদেরকে উল্লেখযোগ্য সুযোগ-সুবিধা এনে দেবে, যাতে এসব বিষয়গুলোয় গণতান্ত্রিক স্বার্থ এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটতে পারে।

সর্বশেষ