মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
spot_img

মাদকবিরোধী অভিযানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় নোমান

 

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মাদক ব্যবসায়ী নিধনের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না, এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ অথবা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে দেশের সব মানুষ আছে। যারা মাদক ব্যবসা করে, তারা ছাড়া সবাই এর বিরুদ্ধে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের নিধন চলছে এটা সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। এসব বিষয়ে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ অথবা সমপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করা প্রয়োজন। সেটা নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে করলে চলবে না।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মাদক ব্যবসায়ী নিধনের নামে অনেক নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কাউন্সিলর একরামের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন এই বক্তব্যের অর্থ কী? একরামের এ ঘটনা হত্যা না বন্দুকযুদ্ধ, সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে। দেশ-বিদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এ ধরনের আইনবহির্ভূত হত্যা হতে পারে না। গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের হত্যা অমানবিক। কিন্তু তারপরও সরকার এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। সংবিধান থেকে মৌলিক কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেগুলো মন্দের ভালো ছিল। কাজেই আজকে দেশে নির্বাচন করতে হলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ এবার অতীতের আন্দোলনের মতো ঠেকিয়ে দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সব সময় জয়লাভ করেছে। আর যারা অস্ত্র নিয়ে রাজনীতি করেছে, তাদের সেই শক্তি কোনো না কোনো সময় পরাজিত হয়েছে। যেমন আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, এরশাদ পরাজিত হয়েছে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল, টাকা ছিল, গু-া ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা জনতার হাতে নিগৃহীত হয়ে পালিয়েছে। আমরা মনে করি, আজকে অনেকে শঙ্কিত, তাঁরা মনে করেন এই আন্দোলন সফল হবে কি না। তাদের তো জেলখানা আছে। তাদের অস্ত্র, গু-া বাহিনী আছে, অর্থ আছে। কিন্তু এই অস্ত্র-অর্থ-গু-া কোনোটাই কাজে আসে না, যখন জনতার রুখে দাঁড়ায়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আন্দোলন বেগবান করব। আন্দোলন বেগবান করলেই খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনকে বন্দি রেখে তারা (সরকার) নির্বাচনে জয়যুক্ত হতে চায়। খালেদা জিয়াকে তারা বড় বেশি ভয় পায়। কারণ, মাছ যেমন পানি ছাড়া থাকতে পারে না, তেমনি জনগণ ছাড়া খালেদা জিয়া বাঁচতে পারবে না।

সর্বশেষ