প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

- Advertisement -

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো প্রেসক্লাব ও তার আশপাশের এলাকা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশের সময় ওই এলাকায় যান চলচল স্বাভাবিক রাখা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। যা পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। সমাবেশ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগেই পুলিশ এতে বাধা দেয়।”

বিএনপির সমর্থিত কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান ইশরাক।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকায় আগেই যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বসানো হয় জলকামান। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। হাজারো নেতা-কর্মীর মিছিল ও স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী সকালে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে যোগ দেয় বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সমাবেশের শুরুতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “জিয়াউর রহমানের বীরত্বের স্বীকৃতি বীর উত্তম খেতাব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত সেটা আল-জাজিরার ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যর্থ চেষ্টা।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আঘাত আসলে প্রতিহত করতে হবে, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, তবুও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “ভাষণ দিয়ে নয়, যুদ্ধ করেই বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার খেতাব নিয়ে ব্যবসা করে না বিএনপি, গর্ব করে।”

সর্বশেষ