প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা চারদিক থেকে অত্যন্ত বিপদে আছেন। তার এই ১২ বছরে গুম-খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার কোনো শেষ নেই। একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হয়েও এত নারী নির্যাতন বিগত কোনো সময় হয়নি। এসব কিছুর হিসাব তাকে দিতে হবে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দিয়ে জেলে দিয়েছেন। মামলা হামলা দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না।
আড়াই যুগ পর রোববার সকালে অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সর্বশেষ ১৯৮৯ সালের পর মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আর কোনো পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর দলের হাইকমান্ড থেকে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে জেলা বিএনপি সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল।
রোববারের সম্মেলন শেষে ভোটারদের সরাসরি ভোটে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতা ৪৫ ভোটের মধ্যে ৪২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.আতাউর রহমান আতা পেয়েছেন ৩ ভোট। এছাড়া এসএ কবীর জিন্নাহ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে মাত্র ১ ভোট বেশি পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোতালেব হোসেন। তিনি পেয়েছেন ১৯ ভোট।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আফরোজা খান রিতা,বিএনপির চেয়াপারসনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্ত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএ কবীর জিন্নাহ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোটেক আব্দুল হামিদ ডাবলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রোখসানা খানম মিতু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ফ ম নুরতাজ আলম বাহারসহ অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা মুখেই শুধু গণতন্ত্রের কথা বলেন। অথচ কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, বিরোধী দলের সম্মেলন করার স্বাধীনতা নেই। কথা বলতে গেলেই রাতের আঁধারে তাকে অদৃশ্য করে গুম করে দেয়া হয়, তারপরও বলতে হবে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রী।
মানিকগঞ্জ জেলা দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উত্তর সেওতা এলাকার বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খানের বাসভবন প্রাঙ্গণে যোগ দেন।