প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: ৫২ দিন কারাভোগের পর নাশকতা ও চাঁদাবাজির তিন মামলায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার (১৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এরপর কড়া পুলিশি পাহারায় তাকে সরাসরি গাড়িতে তুলে দিলে তিনি বাসায় চলে যান। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল জেল গেটে।
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান সিভয়েসকে বলেন, ‘চকবাজার থানার চাঁদাবাজির মামলায় ঈদের আগের দিন হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান শাহাদাত ভাই। পরে কাগজপত্র চট্টগ্রাম আদালত হয়ে কারাগারে গেলে বুধবার বিকেলে তিনি জামিনে মুক্ত হন।’
এরআগে চট্টগ্রামের আদালত থেকে কোতোয়ালী থানার নাশকতার দুই মামলায় জামিন পেলেও চকবাজার থানার চাঁদাবাজির মামলায় জামিন মেলেনি শাহাদাতের। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পান।
গত ২৯ মার্চ দুপুর তিনটা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এসময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং পুলিশ সদস্যরাও। হামলার পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই দিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ট্রাফিকের পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নাসিমন ভবন থেকে গ্রেপ্তার ১৫ জনকে আসামি না করায় সেই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে।
অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়।