spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

ইমানুয়েল ম্যাক্রন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত

spot_img

উগ্র ডানপন্থি নেত্রী মেরি লা পেন’কে পরাজিত করে আবারও ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রন।

- Advertisement -

রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে মধ্যপন্থি ম্যাক্রন পেয়েছেন শতকরা ৫৮ ভাগ ভোট। আর মেরি লা পেন পেয়েছেন শতকরা ৪২ ভাগ ভোট। ২০১৭ সালের তুলনায় দু’জনের ভোটের ব্যবধান কমেছে। এর মধ্য দিয়ে ২০ বছরের মধ্যে ৪৪ বছর বয়সী ম্যাক্রনই হলেন ফ্রান্সে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

ফল ঘোষণার পর প্যারিসে আইফেল টাওয়ারের সামনে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন ম্যাক্রন। তার ওপর এই কঠিন সময়ে আরও ৫ বছরের জন্য আস্থা রাখার জন্য ফরাসি ভোটারদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ম্যাক্রন জানেন, উগ্র ডানপন্থাকে রুখে দিতে বহু ভোটার তাকে ভোট দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৫৩ বছর বয়সী মেরি লা পেন এ নিয়ে তৃতীয় বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করলেন। তবে তিনি পরাজয় মেনে নিয়েছেন। সমর্থকদের তিনি বলেছেন, তার দল অপ্রত্যাশিতভাবে ভোট শেয়ার করেছে। এটাও একটা বিজয়। অর্থাত তিনি বলতে চেয়েছেন আগের তুলনায় তার ওপর আস্থা বেড়েছে। বিজয়ের খবরে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ম্যাক্রন সমর্থকদের মধ্যে। আগামী জুনে সেখানে লেজিসলেটিভ নির্বাচন।

তাতে সরকার কে চালাবে তা নির্ধারণ হবে। ওই নির্বাচনের দিকে সবাইকে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাক্রন। ওদিকে নতুন নির্বাচিত ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান নেতারা।

অভিনন্দন জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ বলেছেন, ইউরোপের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন ফরাসিরা। বিজয়ের পর প্রথম ভাষণে ম্যাক্রন বলেছেন, আমি দেশের সবার প্রেসিডেন্ট। আমাদেরকে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। নারী এবং পুরুষের মধ্যে সমতা ও সমাজ গঠনের জন্য কাজ করবো। আমাদের দেশ খুব বেশি বিভক্ত।

তাই প্রয়োজন শ্রদ্ধা প্রদর্শন। নতুন ৫ বছরের মেয়াদ হবে একটি নতুন যুগ। ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরা এক বিয়োগান্তক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমি কোনো একটি শিবিরের প্রেসিডেন্ট নই। আমি সবার প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে ভাষণ দিয়েছেন বহুল আলোচিত ফার্স্টলেডি ব্রিজিট ম্যাক্রন।

তিনি বলেছেন, আবার আমার স্বামীকে নির্বাচিত করা এক সীমাহীন সম্মান। আমরা চাই সবকিছু বদলে যাক। সর্বান্তকরণে এটা চাই আমি। তিনি বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে তার স্বামী এরই মধ্যে ইতিহাসে প্রবেশ করেছেন। তাকে নিয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। ফ্রান্সের জন্য আছে তার উচ্চাকাঙ্খা।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ