ঢাকায় ২০তম ডি-৮ পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সশরীরে যোগ দেননি। তারা সশরীরে যোগ না দিলেও এই সংস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
উন্নয়নশীল ৮টি মুসলিম দেশের জোট ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন সামনে রেখে গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ঢাকায় এসে সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে সম্মেলনে যোগ দিতে শেষ পর্যন্ত তারা ঢাকায় আসেননি।
সম্মেলনে সশরীরে ঢাকায় না আসলেও ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ান, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত চাভাসোগলু। আর অন্য দেশগুলোর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সহকারি মন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন। তবে সবগুলো দেশ থেকে ঢাকায় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনে শেষে ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এই সম্মেলনে সশরীরে যোগ না দেয়ায় বিষয়ে জানতে ড. মোমেন বলেন, আমি এই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব আশাবাদী। কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার ফলে আমরা সম্মেলনকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে দুই একটি দেশ ছাড়া সব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নিয়েছেন। আর সম্মেলনে কেউ উপস্থিত থাকলেই যে সেটা অ্যাফেক্টিভ হবে, সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। আমরা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কেউ একজন বা দুজন না যোগ দিলে যে সেটা বাস্তবায়ন হবে না, এমন কোনো কথা নেই।
১৯৯৭ সালে তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজমুদ্দিন এরবাকান ডি-৮ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। সে সময় ৮টি উন্নয়নশীল মুসলিম দেশ এতে যোগ দেয়। দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তুরস্ক, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া ও মালয়েশিয়া। এখন আজারবাইজান এই সংস্থার সদস্য হতে আবেদন করেছে।