প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: কাতার বিশ্বকাপে নেইমারকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল। তবে সে স্বপ্নে বড় ধাক্কার মতোই এসেছে সংবাদটা। জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে কাতার বিশ্বকাপ শুরুর এক মাস আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে নেইমারকে। আগামী ১৭ অক্টোবর স্পেনের একটি আদালতে শুনানি শুরু হবে।
স্বাভাবিকভাবেই বড় বিপাকে পড়েছেন নেইমার। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা তো বটেই, চোখ রাঙাচ্ছে দুই বছরের জেলও। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ খেলা নিয়েই বড় শঙ্কা দেখা দেবে এ ব্রাজিলিয়ান তারকার।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে দেওয়ার পর পরই জনসমক্ষে আসে কারচুপির বিষয়টি। ২০১৩ সালে বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেল চুক্তি করেছিলেন নেইমারের সঙ্গে। নেইমারকে কিনতে ৫৭ মিলিয়ন ইউরো খরচের কথা জানিয়েছেন রোসেল। কিন্তু নেইমার ও তার বাবার সঙ্গে অন্যান্য চুক্তির কারণে ট্রান্সফার ফি বেড়ে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো হয় বলে পরে স্বীকার করে বার্সেলোনা।
তখনই নেইমার ও বার্সেলোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশ মালিক ছিল প্রতিষ্ঠানটি। দল বদলের আসল অঙ্ক গোপন করে আসলে তাদের ঠকানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।
এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদকে না বেছে নেইমারের বার্সেলোনাকে বেছে নেওয়ার পেছনে তার বাবাকে রোসেল আরও বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছেন বলেও জানা যায়। অর্থের পরিমাণ গোপন রাখার ফলে বিশাল অঙ্ক হাতছাড়া হয় সান্তোসেরও। নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে ব্রাজিলের ক্লাবটিও।
নেইমারকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে স্পেনের ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা হিসেবে ১০ মিলিয়ন ইউরোও দাবি করেছে তারা। ১৭ অক্টোবর বার্সেলোনার আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। যা চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
অন্যদিকে নেইমারের পাঁচ বছরের সাজার আবেদন করেছে ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি ডিআইএস। একই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বার্সার সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট রোসেল এবং বার্তোমেউ এবং সান্তোসের সাবেক কোচ, এমনকি বার্সেলোনা ক্লাবের বিপক্ষেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা।