প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েছে দুই ভুঁইফোড় সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার ( ২৮ জুলাই) রাতে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। এসময় ম্যাজিস্ট্রেটের ভয় দেখিয়ে আদায়কৃত ১ হাজার টাকা ভুক্তভোগীদের কাছে ফেরত দেন দুই কথিত সাংবাদিক।
তারা হলেন— দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ও দৈনিক দিন প্রতিদিন ও দ্বীপ টিভির দক্ষিণ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মো. কুলিম উল্লাহ।
এর আগে, সন্ধ্যায় কলাউজান হিন্দুর হাটে রনি মল্লিকের মালিকানাধীন শাহপীর অয়েল এজেন্সিতে গিয়ে দোকানদারকে লাইসেন্স দেখাতে বলেন। পরে দুই কথিত সাংবাদিক ম্যাজিস্ট্রেট এনে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী করেন। এসময় দোকানদার ভয়ে তাদের ১ হাজার টাকা দিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রনি মল্লিক একুশে পত্রিকাকে বলেন, ‘এরা দু’জন সাংবাদিক পরিচয়ে আমার দোকানে হাজির হন। পরে আমার কাছ লাইসেন্স দেখতে চায়। তখন আমি তাদের বললাম, ভাই দেখেন আমি তো ছোটখাটো ব্যবসা করি। এখানে লাইসেন্স লাগবে কেন? পরে তারা আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট এনে জরিমানা করাবে বলে ভয় দেখায়। চাঁদা দাবি করে। আমি তাদেরকে ১ হাজার দিয়ে বিদায় করলাম।’
এদিকে চাঁদাবাজির বিষয়টি এলাকায় জনাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনতা তাদের উপজেলা সদরের বটতলী মোটর স্টেশন থেকে দু’জনক হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে উভয় পক্ষে বৈঠক হয়। বৈঠকে লোহাগাড়া সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল খালেকসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জনসম্মুখে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে। বৈঠকে অঙ্গীকারনামা দিয়েছি। আর জিন্দেগীতেও এ ধরনের কাজে জড়াবো না। আফজালুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে দেশের কন্ঠ পত্রিকার কার্ড কিনে নিয়েছি।’
একুশে পত্রিকা